১৪৭৫. জুনদুব [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নাবী [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ আমি তোমাদের আগে হাউযের ধারে পৌঁছব।
[বোখারী পর্ব ৮১ অধ্যায় ৫৩ হাদীস নং ৬৫৮৯; মুসলিম ৪৩/৯, হাঃ ২২৮৯]
১৪৭৬. সাহ্ল ইবনি সাদ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমি তোমাদের আগে হাউযের ধারে পৌঁছব। যে আমার নিকট দিয়ে অতিক্রম করিবে, সে হাউযের পানি পান করিবে। আর যে পান করিবে সে আর কখনও পিপাসার্ত হইবে না। নিঃসন্দেহে কিছু সম্প্রদায় আমার সামনে [হাউযে] উপস্থিত হইবে। আমি তাহাদেরকে চিনতে পারব আর তারাও আমাকে চিনতে পারবে। এরপর আমার এবং তাহাদের মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে দেয়া হইবে।
[বোখারী পর্ব ৮১ অধ্যায় ৫৩ হাদীস নং ৬৫৮৩; মুসলিম ৪৩/৯ হাঃ ২২৯১]
১৪৭৭. আবু সাঈদ খুদ্রী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমি তখন বলব যে এরা তো আমারই উম্মাত। তখন বলা হইবে, তুমি তো জান না তোমার পরে এরা কি সব নতুন নতুন কীর্তি করেছে। রসূল [সাঃআঃ] বলেন তখন আমি বলব, দূর হও! আমার পরে যারা দ্বীনের মাঝে পরিবর্তন এনেছ তারা আল্লাহ্র রহমত থেকে দূর হও।
[বোখারী পর্ব ৮১ অধ্যায় ৫৩ হাদীস নং ৬৫৮৪; মুসলিম ৪৩/৯, হাঃ ২২৯০, ২২৯১]
১৪৭৮. আবদুল্লাহ্ ইবনি আম্র [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমার হাউয [হাউয কাউসার] এক মাসের দূরত্ব সমান [বড়] হইবে। তার পানি দুধের চেয়ে শুভ্র, তার ঘ্রাণ মিশ্ক-এর চেয়ে সুগন্ধযুক্ত এবং তার পানপাত্রগুলি হইবে আকাশের তারকার মত অধিক। যে ব্যক্তি তা থেকে পান করিবে সে আর কখনও পিপাসার্ত হইবে না।
[বোখারী পর্ব ৮১ অধ্যায় ৫৩ হাদীস নং ৬৫৭৯;] ফাযায়েল -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
১৪৭৯. আসমা বিন্ত আবু বকর [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আমি হাউযের ধারে থাকব। তোমাদের মাঝ থেকে যারা আমার কাছে আসবে আমি তাহাদেরকে দেখিতে পাব। কিছু লোককে আমার সামনে থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হইবে। তখন আমি বলব, হে প্রভু! এরা আমার লোক, এরা আমার উম্মাত। তখন বলা হইবে, তুমি কি জান তোমার পরে এরা কী সব করেছে? আল্লাহ্র কসম! এরা দ্বীন থেকে সর্বদাই পশ্চাদমুখী হয়েছিল। তখন ইবনি আবু মুলায়কা বলিলেন, হে আল্লাহ্! দ্বীন থেকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করা থেকে অথবা দ্বীনের ব্যাপারে ফিত্নায় পতিত হওয়া থেকে আমরা তোমার কাছে আশ্রয় চাই।
[বোখারী পর্ব ৮১ অধ্যায় ৫৩ হাদীস নং ৬৫৯৩; মুসলিম ৪৩/৯, হাঃ ২২৯৩]
১৪৮০. উকবাহ ইবনি আমির [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আট বছর পর নাবী [সাঃআঃ] উহুদের শহীদদের জন্য [কবরস্থানে] এমনভবে দুআ করিলেন যেমন কোন বিদায় গ্রহণকারী জীবিত ও মৃতদের জন্য দুআ করেন। তারপর তিনি [ফিরে এসে] মিম্বারে উঠে বলিলেন, আমি তোমাদের অগ্রে প্রেরিত এবং আমিই তোমাদের সাক্ষীদাতা। এরপর হাউযে কাউসারের ধারে তোমাদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ ঘটবে। আমার এ স্থান থেকেই আমি হাউযে কাউসার দেখিতে পাচ্ছি। তোমরা শির্কে জড়িয়ে যাবে আমি এ ভয় করি না। তবে আমার আশঙ্কা হয় যে, তোমরা দুনিয়ায় সুখ-শান্তি লাভে প্রতিযোগিতা করিবে।
[বোখারী পর্ব ৬৪ অধ্যায় ১৭ হাদীস নং ৪০৪২; মুসলিম ৪৩/৯, হাঃ ২২৯৬]
১৪৮১. আবদুল্লাহ্ ইবনি মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি তোমাদের আগে হাউয-এর কাছে গিয়ে পৌঁছব। আর [ঐ সময়] তোমাদের কতিপয় লোককে নিঃসন্দেহে আমার সামনে উঠানো হইবে। আবার আমার সামনে থেকে তাহাদেরকে পৃথক করে নেয়া হইবে। তখন আমি আরয করব, প্রভু হে! এরা তো আমার উম্মাত। তখন বলা হইবে, তোমার পরে এরা কী কীর্তি করেছে তাতো তুমি জান না।
[বোখারী পর্ব ৮১ অধ্যায় ৫৩ হাদীস নং ৬৫৭৬; মুসলিম ৪৩/৯, হাঃ ২২৯৭]
১৪৮২. হারিসাহ ইবনি ওয়াহ্ব [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নাবী [সাঃআঃ]-কে হাউযে কাউসারের আলোচনা করিতে শুনিয়াছি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেনঃ হাউযে কাউসার মাদীনাহ এবং সানআ নামক স্থানের মধ্যকার দূরত্বের মতো।
[বোখারী পর্ব ৮১ অধ্যায় ৫৩ হাদীস নং ৬৫৯১; মুসলিম ৪৩/৯ হাঃ ২২৯৮]
১৪৮৩. বর্ণনাকারী হইতে বর্ণিতঃ
তখন মুসতাওরিদ তাঁকে বলিলেন যে, আল আওয়ানী যে বলেছেন তা কি তুমি শুননি? তিনি বলিলেন, না। মুসতাওরিদ বলিলেন, এর পাত্রগুলো তারকারাজির মত পরিলক্ষিত হইবে।
[বোখারী পর্ব ৮১ অধ্যায় ৫৩ হাদীস নং ৬৫৯২; মুসলিম ৪৩/৯, হাঃ ২২৯৮]
১৪৮৪. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
ইবনি উমার [রাদি.] সূত্রে নাবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ তোমাদের সামনে আমার হাউয এর দূরত্ব হইবে এতটুকু যতটুকু দূরত্ব জাররা ও আযরুহ্ নামক স্থানদ্বয়ের মাঝে।
[বোখারী পর্ব ৮১ অধ্যায় ৫৩ হাদীস নং ৬৫৭৭; মুসলিম ৪৩/৯, হাঃ ২২৯৯]
১৪৮৫. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন, সেই সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ, আমি নিশ্চয়ই [কিয়ামাতের দিন] আমার হাউয [কাউসার] হইতে কিছু লোকদেরকে এমনভাবে তাড়াব, যেমন অপরিচিত উট হাউয হইতে তাড়ানো হয়।
[বোখারী পর্ব ৪২ অধ্যায় ১০ হাদীস নং ২৩৬৭; মুসলিম ৪৩/৯, হাঃ ২৩০২]
১৪৮৬. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমার হাউযের পরিমাণ হল ইয়ামানের আয়লা ও সানআ নামক স্থানদ্বয়ের দূরত্বের সমান আর তার পানপাত্র সমূহ আকাশের তারকারাজির সংখ্যাতুল্য।
[বোখারী পর্ব ৮১ অধ্যায় ৫৩ হাদীস নং ৬৫৮০; মুসলিম ৪৩/৯, হাঃ ২৩০৩]
১৪৮৭. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
আনাস [রাদি.] সূত্রে নাবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আমার সামনে আমার উম্মাতের কতিপয় লোক হাউযের কাছে আসবে। তাহাদেরকে আমি চিনে নিব। আমার সামনে থেকে তাহাদেরকে টেনে নিয়ে যাওয়া হইবে। তখন আমি বলব, এরা আমার উম্মাত। তখন আল্লাহ্ বলবেন, তুমি জান না তোমার পরে এরা কী সব নতুন নতুন কীর্তি করেছে।
[বোখারী পর্ব ৮১ অধ্যায় ৫৩ হাদীস নং ৬৫৮২; মুসলিম ৪৩/৯, হাঃ ২৩০৪]