আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ
“যারা মুমিন পুরুষ ও নারীদের বিনা অপরাধে কষ্ট দেয়, তারা একটা অতি বড় মিথ্যা অপবাদ ও সুস্পষ্ট গোনাহের বোঝা নিজেদের ঘাড়ে তুলে নেয়।” (সূরা আহযাবঃ ৫৮)
১৫৮০ হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের বিপক্ষে অস্ত্রধারণ করে সে আমাদের জামায়াতভুক্ত নয়। আর যে ব্যক্তি আমাদের সাথে প্রতারণা করে সেও আমাদের দলভুক্ত নয়। (মুসলিম)
অপর বর্ণনায় রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (স) খাদ্য শস্যের একটি স্তুপের কাছে দিয়ে গমনের সময় স্তুপের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে দিলেন। তাঁর হাতের আঙ্গুলগুলো ভিজা মনে হল। তিনি বললেন, হে শস্যের মালিক! এটা কি? সে বলল ইয়া রাসূলুল্লাহ (স)! বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছি। তিনি বললেন, তবে এসব উপরের রাখনি কেন? তাহলে লোকজন দেখে শুনে ক্রয় করত। যে ব্যক্তি আমাদের সাথে প্রতারণা করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়।
১৫৮১ হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, “তোমরা ক্রেতাকে ধোঁকা (ক্রয় করা ইচ্ছা না থাকা সত্বেও বিক্রেতার জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি করা জন্য ক্রেতা আকৃষ্ট করে) দেয়ার লক্ষ্যে ক্রেতার মূল্যের উপর মূল্য বৃদ্ধি করে ক্রেতাকে ধোঁকা দিয়ো ন।” (বুখারী ও মুসলিম)
১৫৮২ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করিম (স) একজনের মূল্যের ওপর আর একজনের মূল্য কষতে নিষেধ করেছেন।” (বুখারী ও মুসলিম)
১৫৮৩ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (স)-এর কাছে আগমন করে বলল, সে ক্রয়-বিক্রয়ের প্রতারণার শিকার হয়। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (স) বললেন, যার সাথে ক্রয়-বিক্রয় কর তাকে বল, কোনরূপ ধোঁকাবাজি করবে না। (বুখারী ও মুসলিম)
১৫৮৪ হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি স্ত্রী অথবা বাঁদীকে ধোঁকা দেয় ও তার চরিত্র নষ্ট করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়। (আবু দাঊদ)