দ্বিমুখীপনার প্রতি সমালোচনা

আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ

“তারা মানুষের কাছে থেকে নিজেদের কর্মকান্ড লুকাতে পারে; কিন্তু আল্লাহর কাছ থেকে গোপন করতে পারে না। তিনি তো ঠিক সে সময়ও তাদের সাথে থাকেন যখন তারা রাতের অন্ধাকারে গোপনে আল্লাহর মর্জির পরিপন্থী পরামর্শ করতে থাকে। এদের সমস্ত কার্যকলাপ তাঁর আয়ত্তাধীন। হ্যাঁ, তোমরা এসব অপরাধীর পক্ষ সমর্থন করে পার্থিব জীবনে তো বেশ ঝগড়া করে নিলে; কিন্তু কিয়ামতের দিন তাদের পক্ষে কে ঝগড়া করবে? কে সেখানে তাদের উকিল হবে।” (সূরা নিসাঃ ১০৮-১০৯)

 

১৫৪১. হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (স) ইরশাদ করেছেন, তোমরা দেখবে লোকজন খনিজ সম্পদের মতো। তাদের মধ্যে যারা জাহেলী যুগে উত্তম ছিল। ইসলামী সমাজেও তারাই উত্তম হবে যখন তারা (দ্বীন ইসলামের) পরিপূর্ণ ইলম করবে। তোমরা প্রশাসনে ঐ সব ব্যক্তিদের ভালো পাবে যারা সরকারী দায়িত্ব গ্রহণ করতে খুবই অপছন্দ করে। তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি সবচেয়ে মন্দ, যে দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করে, সে একবার ঐ দলের কাছে একরূপ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে এবং আরেকবার ভিন্নরূপে অপর দলের কাছে আত্মপ্রকাশ করে। (বুখারী ও মুসলিম)


১৫৪২. হযরত মুহাম্মাদ ইবনে যায়িদ (রা) থেকে বর্ণিত। (তিনি বলেছেন) লোকেরা একবার আমার দাদা আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) কাছে এসে বলল, আমরা বাদশার নিকট গমন করি এবং তার সাথে কথাবার্তা বলি। যখন সেখানে হতে ফিরি আসি তখন তার বিপরীত কথা বলি। আবদুল্লাহ (রা) বললেন, আমরা এটাকে রাসূলুল্লাহ (স)-এর যুগে মোনাফেকী বলে গণ্য করতাম। (বুখারী)


 

Was this article helpful?

Related Articles