দণ্ড কার্যকর করার বিরুদ্ধে সুপারিশ করা হারাম
মহান আল্লাহ বলেনঃ
“যিনাকারী ও যিনাকারিণী উভয়কে একশ’ করে বেত্রাঘাত দাও। আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়া না জাগে। যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান রাখ। আ মু’মিনদের একটি দল যেন তাদের উভয়ের শাস্তি কার্যকর কারা প্রত্যাক্ষ করে। (সূরা নূরঃ ২)
১৭৭২. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাখযুমী বংশের যে মহিলাটি চুরি করেছিল তার ব্যাপারটা কুরাইশদের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াল। তারা বলাবলি করছিল ব্যাপারটি প্রসঙ্গে কে রাসূলুল্লাহ (স) -এর সাথে সাক্ষাৎ করতে পারে? তারা বলল, ওসামা ইবনে যায়েদ (রা) রাসূলুল্লাহ (স) -এর প্রিয়পাত্র। তিনি ছাড়া এ কাজ করার মত সাহস কেউ পাবে না। হযরত উসামা (রা) তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করলে রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, তুমি কি মহান আল্লাহর নির্ধারিত শাস্তি (হদ্দ) কার্যকর করার বিপক্ষে সুপারিশ করছ? এরপর তিনি উঠে দাঁড়ালেন, বক্তৃতা করেন এবং তোমাদের পূর্ববর্তীরা এ কারণেই ধ্বংস হয়েছে, তাদের মধ্যে যখন কোন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি চুরি করত তারা তাকে ছেড়ে দিত। আর যখন কোন দুর্বল ব্যক্তি চুরি করত তারা তাকে শাস্তি দিত। আল্লাহর শপথ! যদি মুহাম্মদের কন্যা ফাতিমাও চুরি করত তবে তার হাতও কেটে দিতাম।” (বুখারী ও মুসলিম)
তাদের অন্য বর্ণনায় আছেঃ তারপর তাঁর চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল। তিনি বললেনঃ তুমি কি আল্লাহর নির্ধারি তশাস্তি রহিত করার জন্য সুপারিশ করছ? উসামা বললঃ হে আল্লাহর রাসূল আমার জন্য ইস্তিগফার করুন। উসামা বলেনঃ অতঃপর সেই মহিলার হাত কাটার নির্দেশ দিলে তার হাত কেটে দেয়া হয়।