১৫৬৩. আবু উসমান [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যেসব যুদ্ধে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] স্বয়ং যোগদান করেছিলেন, তন্মধ্যে এক যুদ্ধে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে কোন এক সময় ত্বলহা ও সাদ [রাদি.] ছাড়া অন্য কেউ ছিলেন না। আবু উসমান [রাদি.] তাঁদের উভয় হইতে এ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[বোখারী পর্ব ৬২ অধ্যায় ১৪ হাদীস নং ৩৭২২-৩৭২৩; মুসলিম পর্ব ৪৪ হাঃ ২৪১৪]
১৫৬৪. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, খন্দকের যুদ্ধের সময় আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বলিলেন, কে আমাকে শত্রু পক্ষের খবরাখবর এনে দিবে? যুবাইর [রাদি.] বলিলেন, আমি আনব। তিনি আবার বলিলেন, আমার শত্রু পক্ষের খবরাখবর কে এনে দিবে? যুবায়র [রাদি.] আবারও বলিলেন, আমি আনব। অতঃপর নাবী [সাঃআঃ] বলিলেন, প্রত্যেক নাবীরই সাহায্যকারী থাকে আর আমার সাহায্যকারী যুবাইর।
[বোখারী পর্ব ৫৬ অধ্যায় ৪০ হাদীস নং ২৮৪৬; মুসলিম ৪৪/৬ হাঃ ২৪১৫]
১৫৬৫. আবদুল্লাহ ইবনি যুবায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, খন্দক যুদ্ধ চলাকালে আমি এবং উমার ইবনি আবু সালামাহ মহিলাদের দলে চলছিলাম। হঠাৎ যুবায়েরকে দেখিতে পেলাম যে, তিনি অশ্বারোহণ করে বনী কুরায়যা গোত্রের দিকে দুবার অথবা তিনবার আসা যাওয়া করছেন। যখন ফিরে আসলাম তখন বললাম, আব্বা! আমি আপনাকে কয়েকবার যাতায়াত করিতে দেখেছি। তিনি বলিলেন, হে প্রিয় বৎস! তুমি কি আমাকে দেখিতে পেয়েছিলে? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বলিলেন, আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বলেছিলেন কে বনী কুরায়যা গোত্রের নিকট গিয়ে তাহাদের খবরা-খবর জেনে আসবে? তখন আমিই গিয়েছিলাম। যখন আমি ফিরে আসলাম তখন আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] আমার জন্য তাহাঁর মাতা-পিতাকে একত্র করে বলিলেন, আমার মাতাপিতা তোমার জন্য কুরবান হোক।
[বোখারী পর্ব ৬২ অধ্যায় ১৩ হাদীস নং ৩৭২০; মুসলিম পর্ব ৪৪ হাঃ ২৪১৬]