তিন আঙ্গুলে খাওয়া ও বরতন চেটে খাওয়া ইত্যাদি
৭৪৮. ইবনুল আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন আহার শেষে তার আঙ্গুলসমূহ না চাটা বা না চাটানো পর্যন্ত মুছে না ফেলে। (বুখারী, মুসলিম)
৭৪৯. কা’ব ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে তিন আঙ্গুলে আহার করতে দেখেছি এবং তিন আহার শেষে আঙ্গুল চেটে নিতেন। (মুসলিম)
৭৫০. জাবের (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) আঙ্গুলসমূহ এবং খাওয়ার পাত্র চেটে খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরো বলেছেনঃ “তোমাদের করো জানা নেই, তোমাদের খাবারের কোন অংশে বরকত নিহিত রয়েছে। (মুসলিম)
৭৫১. জাবের (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেনঃ তোমাদের কারো খাদ্যের গ্রাস পড়ে গেলে সে যেন তা তুলে নেয়, তাতে লেগে থাকা ময়লা ছাড়িয়ে নিয়ে তা খায় এবং শয়তানের জন্য রেখে না দেয়। সে যেন তার আঙ্গুলসমূহ না চাটা পর্যন্ত তা রুমাল দিয়ে না মোছে। কারণ তার জানা নেই যে, তার খাবারের কোন অংশে বরকত নিহিত আছে। (মুসলিম)
৭৫২. জাবের (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ শয়তান তোমাদের প্রত্যেকের প্রতিটি কাজের সময় হাযির হয়, এমনকি তার খাওয়ার সময়ও সে উপস্থিত হয়। কাজেই তোমাদের কারো লোকমা পড়ে গেলে সে যেন তা তুলে খেয়ে নেয় এবং শয়তানের জন্য ফেলে না রাখে। সে আহার শেষে যেন আঙ্গুল লেহন করে। কারণ তার জানা নেই, তার খাবারের কোন অংশে বরকত লুকিয়ে আছে। (মুসলিম)
৭৫৩. আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) আহার শেষে তার তিনটি আঙ্গুল চেটে খেতেন এবং বলতেনঃ তোমাদের কারো লোকমা পড়ে গেলে সে যেন তা উঠিয়ে নেয় এবং তাতে লেগে যাওয়া ময়লা দূর করে খেয়ে ফেলে, শয়তানের জন্য যেন তা ছেড়ে না দেয়। তিনি পাত্র মুছে খাওয়ারও নির্দেশ দেন। তিনি বলেনঃ তোমাদের জানা নেই, তোমাদের কোন খানাতে বরকত নিহিত রয়েছে। (মুসলিম)
৭৫৪. সাঈদ ইবনুল হারিস (র) থেকে বর্ণিত। তিনি জাবির (রা) কে জিজ্ঞেস করেন, আগুনে পাকানো জিনিস খেলে উযু করতে হবে কি না। তিনি বলেন, না। আমরা নবী (সা)-এর যামানায় এ জাতীয় খানা খুব বেশি পেতাম না। যখন তা পেতাম (এবং খেয়ে নিতাম), তখন আমাদের নিকট রুমাল ছিল না, ছিল হাতের তালু বাহু এবং পা থাকত। (আমরা তাতেই হাত মুছে নিতাম) তারপর নামায পড়তাম, কিন্তু (নতুনভাবে) উযু করতাম না। (বুখারী)