জারীর বিন আবদুল্লাহ (রা)-এর মর্যাদা।

১৬০৮. জারীর [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি যখন ইসলাম গ্রহণ করেছি তখন থেকে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] আমাকে তাহাঁর নিকট প্রবেশ করিতে বাধা দেননি এবং যখনই তিনি আমার চেহারার দিকে তাকাতেন তখন তিনি মুচকি হাসতেন। আমি আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]-এর নিকট আমার অসুবিধার কথা জানালাম যে, আমি অশ্ব পৃষ্ঠে স্থির থাকতে পারি না। তখন আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] আমার বক্ষে হাত দিয়ে আঘাত করিলেন এবং এ দুআ করিলেন, হে আল্লাহ্! তাকে স্থির রাখুন এবং তাকে হিদায়াতকারী ও হিদায়তপ্রাপ্ত করুন

[বোখারী পর্ব ৫৬ অধ্যায় ১৬২ হাদীস নং ৩০৩৫-৩০৩৬; মুসলিম ৪৪/২৯ হাঃ ২৪৭৫]


১৬০৯. জারীর [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমাকে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বলিলেন, তুমি কি আমাকে যিলখালাসার ব্যাপারে শান্তি দিবে না? খাশআম গোত্রের একটি মূর্তি ঘর ছিল। যাকে ইয়ামানের কাবা নামে আখ্যায়িত করা হত। জারীর [রাদি.] বলেন, তখন আমি আহমাসের দেড়শ অশ্বারোহীকে সঙ্গে নিয়ে রওয়ানা করলাম। তারা সুদক্ষ অশ্বারোহী ছিল। জারীর [রাদি.] বলেন, আর আমি অশ্বের উপর স্থির থাকতে পারতাম না। আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] আমার বুকে এমনভাবে আঘাত করিলেন যে, আমি আমার বুকে তাহাঁর অঙ্গুলির চিহ্ন দেখিতে পেলাম এবং তিনি আমার জন্য এ দুআ করিলেন, হে আল্লাহ্! তাকে স্থির রাখুন এবং হিদায়াত প্রাপ্ত, পথ প্রদর্শনকারী করুন। অতঃপর জারীর [রাদি.] সেখানে যান এবং যুলখালাসা মন্দির ভেঙ্গে ফেলেন ও জ্বালিয়ে দেন। অতঃপর আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]-কে এ খবর দেওয়ার জন্য এক ব্যক্তিকে তাহাঁর নিকট প্রেরণ করেন। তখন জারীর [রাদি.]-এর দূত বলিতে লাগল, কসম সে মহান আল্লাহ্ তাআলার! যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করিয়াছেন, আমি আপনার নিকট তখনই এসেছি যখন যুলখালাসাকে আমরা ধ্বংস করে দিয়েছি। জারীর [রাদি.] বলেন, অতঃপর আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] আহমাসের অশ্ব ও অশ্বারোহীদের জন্য পাঁচবার বরকতের দুআ করেন।

[বোখারী পর্ব ৫৬ অধ্যায় ১৫৪ হাদীস নং ৩০২০; মুসলিম ৪৪/২৯ হাঃ ২৪৭৬]

Was this article helpful?

Related Articles