৩৮০. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন যে, জামাআতের সালাত আমাদের কারো একাকী সালাত হতে পঁচিশ গুণ অধিক সওয়াব রাখে। আর ফজরের সালাতে রাতের ও দিনের মালাকগণ একত্রিত হয়। অতঃপর আবু হুরাইরাহ্ (রাযি.) বলতেন, তোমরা চাইলে (এর প্রমাণ স্বরূপ) (إِنْ شِئْتُمْ إِنَّ قُرْآنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُودًا) অর্থাৎ ’ফজরের সালাতে (মালাকগণ) উপস্থিত হয়’ পাঠ কর।
[বোখারী পর্ব ১০ : /৩১ হাঃ ৬৪৯, মুসলিম ৫/৪২, হাঃ ৬৫০] নামাজের স্থান-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮১. আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বলেছেনঃ জামাআতে সলাতের ফাযীলত একাকী আদায়কৃত সলাত অপেক্ষা সাতাশ গুণ বেশী।
[বোখারী পর্ব ১০ : /৩০ হাঃ ৬৪৫, মুসলিম ৫/৪২, হাঃ ৬৫০] নামাজের স্থান-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮২. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যাঁর হাতে আমার প্রাণ, তাহাঁর শপথ! আমার ইচ্ছে হয়, জ্বালানী কাঠ সংগ্রহ করিতে আদেশ দেই, অতঃপর সলাত কায়েমের নির্দেশ দেই, অতঃপর সলাতের আযান দেয়া হোক, অতঃপর এক ব্যক্তিকে লোকদের ঈমামত করার নির্দেশ দেই। অতঃপর আমি লোকদের নিকট যাই এবং [যারা সলাতে শামিল হয় নাই] তাহাদের ঘর জ্বালিয়ে দেই। যে মহান সত্তার হাতে আমার প্রাণ, তাহাঁর কসম! যদি তাহাদের কেউ জানত যে, একটি গোশ্তহীন মোটা হাড় বা ছাগলের ভালো দুটি পা পাবে তাহলে অবশ্যই সে ইশা সলাতের জামাআতেও উপস্থিত হতো।
[বোখারী পর্ব ১০ : /২৯ হাঃ ৬৪৪, মুসলিম ৫/৪২, হাঃ ৬৫১] নামাজের স্থান-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৩৮৩. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মুনাফিকদের জন্য ফাজর ও ইশার সলাত অপেক্ষা অধিক ভারী সলাত আর নেই। এ দু সলাতের কী ফাযীলত, তা যদি তারা জানতো, তবে হামাগুঁড়ি দিয়ে হলেও তারা হাযির হতো। [রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেন] আমি ইচ্ছে করেছিলাম যে, মুয়ায্যিনকে ইকামাত দিতে বলি এবং কাউকে লোকদের ঈমামত করিতে বলি, আর আমি নিজে একটি আগুনের মশাল নিয়ে গিয়ে অতঃপর যারা সলাতে আসেনি, তাহাদের উপর আগুন ধরিয়ে দেই।
[বোখারী পর্ব ১০ : /৩৪ হাঃ ৬৫৭, মুসলিম ৫/৪২, হাঃ ৬৫১] নামাজের স্থান-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস