৪১৬. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] যে আমাল করা পছন্দ করিতেন, সে আমাল কোন কোন সময় এ আশঙ্কায় ছেড়েও দিতেন যে, সে আমাল করিতে থাকিবে, ফলে তাহাদের উপর তা ফার্য হয়ে যাবে। আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] চাশ্তের সলাত আদায় করেননি। আমি সে সলাত আদায় করি
। [বোখারী পর্ব ১৯ : /৫ হাঃ ১১২৮, মুসলিম ৬/১৩, হাঃ ৭১৮] * আয়েশা [রাদি.] এ কথা তাহাঁর জানা অনুসারে বলেছেন। উম্মু হানী [রাদি.]-এর রিওয়ায়াতে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] -এর চাশ্ত আদায় প্রমাণিত আছে। মুসাফির ব্যক্তির নামাজ-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৪১৭. ইবনি আবু লায়লা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
উম্মু হানী [রাদি.] ব্যতীত অন্য কেউ নাবী [সাঃআঃ]-কে সলাতুয্ যুহা [পূর্বাহ্নের সলাত] আদায় করিতে দেখেছেন বলে আমাদের জানাননি। তিনি {উম্মে হানী [রাদি.]} বলেন, নাবী [সাঃআঃ] মাক্কাহ্ বিজয়ের দিন তাহাঁর ঘরে গোসল করার পর আট রাকআত সলাত আদায় করিয়াছেন। আমি তাঁকে এর থেকে সংক্ষিপ্ত কোন সলাত আদায় করিতে দেখিনি, তবে তিনি রুকূ ও সাজদাহ্ পূর্ণভাবে আদায় করেছিলেন।
[বোখারী পর্ব ১৯ : /৩৩ হাঃ ৩৫৭, মুসলিম ৬/১৬, হাঃ ৩৩৬] মুসাফির ব্যক্তির নামাজ-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৪১৮. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার খলীল ও বন্ধু [নাবী [সাঃআঃ]] আমাকে তিনটি কাজের ওসিয়্যাত [বিশেষ আদেশ] করিয়াছেন, মৃত্যু পর্যন্ত তা আমি পরিত্যাগ করব না। [তা হল] [১] প্রতি মাসে তিন দিন সিয়াম [পালন করা], [২] সলাতুয্-যোহা [চাশ্ত এর সলাত আদায় করা] এবং [৩] বিত্র [সলাত] আদায় করে শয়ন করা।
[বোখারী পর্ব ১৯ : /৩৩, হাঃ ১১৭৮, মুসলিম ৬/১৩, হাঃ ৭২১] মুসাফির ব্যক্তির নামাজ-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস