গর্ব ও বিদ্রোহ করা নাজায়েয

আল্লাহ তায়ালা বলেছেন:

“যারা বড় গুনাহ ও অশ্লীল কার্যবলী থেকে বিরত থাকে। তবে অতি নগণ্য কিছু অপরাধ তাদের দ্বারা সংঘটিত হয়ে যায়। তোমার খোদার ক্ষমাশীলতা অনেক ব্যাপক। তিনি তোমাদেরকে ভালভাবেই জানেন, তিনি তোমাদের মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন, আর যখন তোমরা ভ্রণরূপে মায়ের গর্ভে ছিলে। অতএব তোমরা তোমাদের আত্ম-পবিত্রতার দাবী কর না। প্রকৃত মুত্তাকীকে তা তিনিই ভাল জানেন।” (সূরা নাজমঃ ৩২)

তিনি আরো বলেছেনঃ

“যেসব নির্যাতিত ব্যক্তি যুলুমের পর প্রতিশোধ নেবে তাদেরকে কোনরূপ তিরিস্কার করা যাবে না। তিরস্কার পাওয়ার যোগ্য তো তারা যারা অন্যদের উপর জুলুম করে এবং পৃথিবীর বুকে অন্যায়ভাবে বাড়াবাড়ি করে। এই লোকদের জন্য কষ্টদায়ক শাস্তি রয়েছে।” (সূরা শুরাঃ ৪২)

১৫৯০ হযরত ইবনে হিমার (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ(স) ইরশাদ করেছেন, “আল্লাহ তায়ালা আমার কাছে এ মর্মে ওহী পাঠিয়েছেন,তোমরা বিনয়ী হও, যাতে তোমাদের কেউ করো প্রতি জোর-জবরদস্তি করতে না পার এবং কেউ কারো কাছে গর্ব করতে না পারো।”(মুসলিম)


১৫৯১ হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ(স) ইরশাদ করেছেন, “যখন কোন ব্যক্তি বলে, মানুষ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে তখন বুঝতে হবে, তাদের মধ্যে সে ব্যক্তিই সর্বাধিক উপযুক্ত। (মুসলিম)

ইমাম নববী (রহঃ) বলেনঃ  এই নিষেধাজ্ঞা সেই ব্যক্তির জন্য যে নিজেকে বড় মনে করে এবং অন্য লোকদের হীন জ্ঞান করে এবং তাদের উপর নিজের বড়ত্ব প্রকাশ করে। এ জাতীয় আচরণ সম্পর্ণ হারাম; কিন্তু যদি কোন ব্যক্তি লোকজনের দ্বীনের ব্যাপারে অনভিজ্ঞতা ও ত্রুটি লক্ষ্য করে তাদের দ্বীনের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে এরূপ মন্তব্য করে তবে এতে কোন দোষ নেই। (মালেক ইবনে আনাস, খাত্তাবী, হুমাইদী প্রমুখ বড় বড় আলেম এ হাদীসের এরূপ ব্যাখ্যাই প্রদান করেছেন।)


 

Was this article helpful?

Related Articles