৪৫১. আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এক ক্বারীকে রাতে মসজিদে কুরআন মাজীদ পাঠ করিতে শুনলেন। এরপর তিনি বলিলেন, আল্লাহ্ তার প্রতি রহম করুন। সে আমাকে অমুক অমুক আয়াত স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, যা অমুক অমুক সূরাহ থেকে ভুলতে বসেছিলাম
[বোখারী পর্ব ৬৬: /২৭ হাঃ ৫০৪২, মুসলিম ৬/৩৩, হাঃ ৭৮৮] মুসাফির ব্যক্তির নামাজ-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৪৫২. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি অন্তরে কুরআন গেঁথে [মুখস্থ] রাখে তার উদাহরণ হচ্ছে ঐ মালিকের ন্যায়, যে উট বেঁধে রাখে। যদি সে উট বেঁধে রাখে, তবে সে উট তার নিয়ন্ত্রণে থাকে, কিন্তু যদি সে বন্ধন খুলে দেয়, তবে তা আয়ত্তের বাইরে চলে যায়।
[বোখারী পর্ব ৬৬ : /২৩ হাঃ ৫০৩১, মুসলিম ৬/৩৩, হাঃ ৭৮৯] মুসাফির ব্যক্তির নামাজ-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৪৫৩. আবদুল্লাহ্ ইবনি মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন, এটা খুবই খারাপ কথা যে, তোমাদের মধ্যে কেউ বলবে, আমি কুরআনের অমুক অমুক আয়াত ভুলে গেছি; বরং তাকে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। সুতরাং, তোমরা কুরআন তিলাওয়াত করিতে থাক, কেননা, তা মানুষের অন্তর থেকে উটের চেয়েও দ্রুতবেগে চলে যায়।
[বোখারী পর্ব ৬৬: /২৩ হাঃ ৫০৩২, মুসলিম ৬/৩৩, হাঃ ৭৯০] মুসাফির ব্যক্তির নামাজ-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৪৫৪. আবু মূসা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন, তোমরা কুরআনের প্রতি লক্ষ্য রাখবে। আল্লাহ্র কসম! যার কবজায় আমার জীবন! কুরআন বন্ধনমুক্ত উটের চেয়েও দ্রুত বেগে দৌড়ে যায়।
[বোখারী পর্ব ৬৬: /২৩ হাঃ ৫০৩৩, মুসলিম ৬/৩৩, হাঃ ৭৯১] মুসাফির ব্যক্তির নামাজ-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস