চোগলখুরী বা ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে একের কথা অন্যের কানে লাগানো হারাম
আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ
“যে লোক গালাগাল করে, অভিশাপ দেয়, চোগলখুরী করে বেড়ায়।” (সূরা কলমঃ ১৬)
তিনি আরো বলেছেনঃ
“যে কথাই তার মুখে উচ্চারিত হয় তা সংরক্ষণের জন্য একজন সদা প্রস্তুত পর্যবেক্ষক নিযুক্ত রয়েছে।” (সূরা কাফঃ ১৮)
১৫৩৭. হযরত হুযাইফা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, “চোগলখোর কখনো বেহেশতে যেতে পারবে না।” (বুখারী ও মুসলিম)
১৫৩৮. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ (স) দু’টি কবরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বললেন, এ দুই ব্যক্তিকে আযাব দেয়া হচ্ছে। কোন বড় পাপের কারণে তাদের আযাব হচ্ছে না। তবে হ্যাঁ, বিষয়টা বড়ই। তাদের একজন চোগলখুরী করে বেড়াত। আর অপরজন পেশাব থেকে ভালভাবে পবিত্র হত না।
(বুখারী ও মুসলিম)
আলেমগণ বলেণঃ ওয়ামা ইউ’আযযবানি ফি কাবীরিন এর অর্থঃ তাদের ধারণায় ঐগুলি বড় গুনাহ ছিল না। আরো এক অর্থ বলা হল, ঐ কাজ পরিত্যাগ করা তাদের জন্য বড় ব্যাপার ছিল না বরং তারা চাইলে অতি সহজে তা করতে পারত।
১৫৩৯. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (স) ইরশাদ করেছেন, “আমি কি তোমাদের জানাব না ‘ইদাহ’ কি? তা হচ্ছে চোগলখুরী। অর্থাৎ লোকজনের মধ্যে কথা ছড়নো।” (মুসলিম)
আদাহুন-এর অর্থ মিথ্যা ও অপবাদ।