৫৪. আবূ বাকরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ বকর (রাঃ) বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় পাপের কথা জানিয়ে দেব না? এ কথাটি তিন বার বললেন। সাহাবাগণ বললেন, অবশ্যই হে আল্লাহ্র রাসূল! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আল্লাহ্র সাথে শিরক্ করা ও পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া। রাসূলুল্লাহ হেলান দেয়া থেকে সোজা হয়ে বসলেন। তারপর তিনি বললেন, তোমরা মিথ্যা কথা বলা থেকে সাবধান থাক। এ কথা তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বার বার বলতে থাকেন। আমরা তখন বলতে থাকি, আফসোস! তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যদি চুপ করতেন (তাহলে আমাদের জন্যে মঙ্গল হত)। (বুখারী পর্ব ৫২ : /১০ হাঃ ২৬৫৪)
৫৫. আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে কাবীরাহ গুনাহ (বড় পাপ) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আল্লাহ তা‘আলার সাথে শিরক্ করা, পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া, কোন মানুষকে হত্যা করা এবং মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া। (বুখারী পর্ব ৫২ : /১০ হাঃ ২৬৫৩)
৫৬. আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা সাতটি ধ্বংসকারী বস্তু থেকে সাবধান থাক। সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! সেগুলো কী রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আল্লাহ্র সাথে শিরক্ করা, যাদু করা, অন্যায়ভাবে কোন মানুষকে হত্যা করা, সুদ খাওয়া, ইয়াতিমের মাল (অন্যায়ভাবে) ভক্ষণ করা, রণাঙ্গণ থেকে পলায়ন করা, নির্দোষ সতীসাধ্বী মু‘মিনা মহিলাকে অপবাদ দেয়া। (বুখারী পর্ব ৫৫ : /২৩ হাঃ ২৭৬৭)
৫৭. ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কবীরা গুনাহসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো নিজের পিতা-মাতাকে অভিসম্পাত করা। জিজ্ঞেস করা হলোঃ হে আল্লাহ্র রাসূল! আপন পিতা-মাতাকে কোন লোক কিভাবে অভিসম্পাত করতে পারে? তিনি বললেনঃ সে অন্য কোন লোকের পিতাকে গালি দেয়, তখন সে তার পিতাকে গালি দেয় এবং সে অন্যের মাকে গালি দেয়, অতঃপর সে তার মাকে গালি দেয়। (বুখারী পর্ব ৭৮ : /অধ্যায় ৪ হাঃ ৫৯৭৩)