এশার নামায কায়েম করার পরেও বাক্যালাপ করা মাকরূহ

এশার নামায আদায়ের পর কথা বলা মাকরূহ 

১৭৪৮. হযরত আবু বুরদা (রা) থেকে বর্ণিত। (তিনি বলেন,) রাসূলুল্লাহ (স) ইশার নামাযের পূর্বে ঘুমানো এবং তারপরে কথা বলতে অপছন্দনীয় মনে করতেন। ( বুখারী ও মুসলিম)


১৭৪৯. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) তাঁর জীবনের শেষ দিকে একবার আমাদের এশার নামায কায়েম করালেন। সালাম ফেরানোর পর তিনি বললেন, “আজকের এ রাত সম্পর্কে তোমাদের কি কিছু জানা রয়েছে? যারা আজকে দুনিয়াতে জীবিত রয়েছে একশ’ বছর পর তাদের কেউ আর অবশিষ্ট (জীবিত) থাকবে না।” (বুখারী ও মুসলিম)


১৭৫০. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। একদিন তাঁরা (সাহাবীগণ) নবী করীম (স) এর জন্য অপেক্ষা করেন। তিনি প্রায় অর্ধ রজনির সময় আগমন করলেন এবং তাদের সাথে এশার সালাত কায়েম করলেন। হযরত আনাস (রা) বর্ণনা করেছেন, এরপর তিনি আমদের সামনে বক্তৃতা দান করেন। তিনি বলেন, “জেনে রেখ অনেক ব্যক্তি সালাত কায়েম করে ঘুমিয়ে পড়েছে, কিন্তু তোমরা যে পর্যন্ত সালাতের জন্য অপেক্ষা করেছ, সে পর্যন্ত সালাতের মধ্যেই ছিলে।” (বুখারী ও মুসলিম)


 

Was this article helpful?

Related Articles