মহান আল্লাহ বলেনঃ
তোমাদের প্রিয় ও মনপুত বস্তু (আল্লাহর পথে) ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কিছুতেই প্রকৃত কল্যাণের অধিকারী হতে পারবে না। আর যা কিছুই তোমরা ব্যয় করবে, আল্লাহ সে বিষয়ে পুরোপুরি জানেন। (সূরা আলে-ইমরানঃ ৯২)
মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা যে ধন-মাল অর্জন করেছো এবং আমরা যা কিছু তোমাদের জন্য ভূমি থেকে উৎপাদন করেছি, তা থেকে শ্রেয়তর অংশ আল্লাহর পথে ব্যয় করো। আল্লাহর পথে ব্যয় করার জন্যে নিকৃষ্টতম জিনিসগুলো বেছে নেয়া তোমাদের পক্ষে কিছুতেই উচিত নয়। (সূরা বাকারাঃ ২৬৭)
২৯৭. হযরত আনাস (রা) বর্ণনা করেন, মদীনার আনসারদের মধ্যে আবু তালহা (রা) খেজুর বাগানের দরুণ সবচেয় বেশি ধন-মালের অধিকারী ছিলেন। তাঁর সমগ্র ধন-মালের মধ্যে ‘বায়রা হাআ’ নামক বাগানটি তাঁর কাছে সবচেয়ে বেশি মনপুত ছিল। আর এ বাগানটি ছিল মসজিদে নববীর একেবারে সামনে। রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায়শ সেখানে যাতায়াত করতেন এবং বাগানে মিষ্টি পানি পান করে পরিতৃপ্ত হতেন। হযরত আনাস বলেনঃ যখন এ আয়াত নাযিল হলো- ‘তোমাদের সবচেয়ে মনপুত জিনিসটি (আল্লাহর রাহে) ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কিছুতেই প্রকৃত কল্যাণের অধিকারী হতে পারবে না, তখন আবু তালহা (রা) রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! ‘বায়রা হাআ’ নামক বাগানটি আমার সবচেয়ে প্রিয় সম্পদ। আমি এটা আল্লাহর রাহে দান (সদকাহ) করে দিলাম। এর বিনিময়ে আমি আল্লাহর কাছ থেকে সওয়াব ও প্রতিদান লাভের আশা পোষণ করি। হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আপনার ইচ্ছা মাফিক এটাকে কাজে লাগান। রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ‘বেশ, বেশ। এটা তো খুবই লাভজনক সম্পদ (দু’বার)। তুমি যা বলছো, আমি তা শুনেছি। তবে এটা তোমার নিকটাত্মীয়দের দান করাটাই আমি যথোচিত মনে করি।’ আবু তালহা বললেনঃ ‘আমি তা-ই করবো হে আল্লাহর রাসূল!
এরপর আবু তালহা বাগানটি তার নিকটাত্মীয় ও চাচাতো ভাইদের মধ্যে বন্টন করে দিলেন। (বুখারী ও মুসলিম)