৩১. ‘উকবাহ ইবনু ‘উমার ও আবূ মাস‘উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
‘উকবাহ ইবনু ‘উমার ও আবূ মাস‘উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজ হাত দ্বারা ইয়ামানের দিকে ইশারা করে বলেন, “ঈমান তো ওদিকে ইয়ামানের মধ্যে। কঠোরতা ও মনের কাঠিন্য এমন সব বেদুইনদের মধ্যে যারা তাদের উট নিয়ে ব্যস্ত থাকে এবং ধর্মের প্রতি মনোযোগী হয় না, যেখান থেকে শয়তানের শিং দু’টি বেরোয় রাবী‘আহ্ ও মুযার গোত্রদ্বয়ের মাঝে। (বুখারী পর্ব ৫৯ : /১৫ হাঃ ৩৩০২)
৩২. আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) সূত্রে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইয়ামানবাসীরা তোমাদের কাছে এসেছে। তাঁরা অন্তরের দিক থেকে অত্যন্ত কোমল। আর মনের দিক থেকে অত্যন্ত দয়ার্দ্র। ফিকহ্ হল ইয়ামানীদের আর হিকমাত হল ইয়ামানীদের। (বুখারী পর্ব ৬৪ : /৭৪ হাঃ ৪৩৯০ মুসলিম কিতাবুল ঈমান হাঃ ৫২)
৩৩. আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘কুফরীর মূল পূর্বদিকে, গর্ব এবং অহংকার ঘোড়া এবং উটের মালিকদের মধ্যে এবং বেদুইনদের মধ্যে যারা তাদের উটের পাল নিয়ে ব্যস্ত থাকে, আর শান্তি বকরির পালের মালিকদের মধ্যে।’ (বুখারী পর্ব ৫৯ : /১৫ হাঃ ৩৩০১, মুসলিম ১/২১ হাঃ ৫২)
৩৪. আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) বলেন। আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, গর্ব ও অহমিকা রয়েছে চিৎকার ও শোরগোলকারী বেদুঈনদের মধ্যে, স্বস্তি ও শান্তি বকরী পালকদের মধ্যে, ঈমান ইয়ামানবাসীদের মধ্যে এবং হিকমাতও ইয়ামানবাসীদের মধ্যে বেশী রয়েছে। (বুখারী পর্ব ৬১ : /১ হাঃ ৩৪৯৯, মুসলিম ১/২১ হাঃ ৫২)