আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ
“তাদের সাথে পরামর্শ কর।” (সূরা আলে ইমরানঃ ১৫৯)
তিনি আরো বলেছেনঃ
“তাদের কাজকর্ম তাদের পারস্পরিক পরামর্শের ভিত্তিতে হয়।” (সূরা শূরাঃ ৩৮)
৭১৮. জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) অন্যান্য যাবতীয় বিষয়ের মধ্যে আমাদের ইস্তিখারাও শেখাতেন, যেমন তিনি কুরআনের কোন সূরা আমাদের শিক্ষা দিতেন। তিনি বলতেনঃ তোমাদের কেউ যখন কোন কাজ করার সংকল্প করে সে যেন দুই রাকাআত নফল নামায পড়ে, তারপর বলে, “হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে কল্যাণ চাই তোমার ইলমের সাহায্যে। তোমার নিকট শক্তি কামনা করি তোমার কুদরাতের সাহায্যে। তোমার নিকট অনুগ্রহ চাই তোমার মহা অনুগ্রহ থেকে। তুমি সর্বোপরি ক্ষমতাবান। আমার কোন ক্ষমতা নেই। তুমি সর্বজ্ঞ। আমি কিছু জানি না। তুমি সকল গোপন বিষয় সম্পর্কে পূর্ণ অবগত। হে আল্লাহ! তোমার জ্ঞানে যদি এ কাজ, যা আমি করতে চাই, আমার দ্বীন, আমার জীবন-জীবিকা ও কর্মফলের দিক থেকে অথবা তিনি বলেছেন, উক্ত কাজ দুনিয়া ও আখিরাতের দিক থেকে ভালো হয়, তাহলে তা করার শক্তি আমাকে দাও, সে কাজ আমার জন্য সহজ করে দাও এবং তাতে আমার জন্য বরকত দাও। পক্ষান্তরে তোমার জ্ঞানে উক্ত কাজ যদি আমার দ্বীন, আমার জীবন-জীবিকা ও কর্মফলের দিক থেকে (অথবা বলেছেন) দুনিয়া অথবা আখিরাতের দিক থেকে মন্দ হয়, তাহলে আমার ধ্যান-কল্পনা উক্ত কাজ থেকে ফিরিয়ে নাও, তার খেয়াল আমার অন্তর থেকে দূরীভূত করে দাও, আমার জন্য যেখানেই কল্যাণ রয়েছে তার ফায়সালা করে দাও এবং আমাকে তারই উপর সন্তুষ্ট করে দাও।” এরপর নিজের প্রয়োজনের কথা ব্যক্ত করবে। (বুখারী)