১১৪০. হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার বন্ধু রাসূলুল্লাহ (সা) আমাকে উপদেশ দিয়েছেন, প্রতি মাসে তিন দিন রোযা রাখতে, চাশতের দু’ রাকা’আত নামায পড়তে এবং ঘুমানোর পূর্বে বিতরের নামায পড়ে নিতে। (বুখারী ও মুসলিম)
১১৪১. হযরত আবূ যার (রা) নবী করীম (সা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ ভোর হলেই তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির জোড়াগুলোর ওপর সাদাকা ওয়াজিব হয়। কাজেই প্রত্যেক বার ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা সাদাকা হিসেবে বিবেচিত, প্রত্যেকবার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা সাদাকা হিসেবে বিবেচিত, প্রত্যেকবার ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলা সাদাকা হিসেবে বিবেচিত এবং প্রত্যেকবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলা সাদাকা হিসেবে বিবেচিত। আর সৎকাজের আদেশ করা সাদাকা হিসেবে বিবেচিত এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা সাদাকা হিসেবে বিবেচিত হবে। আর এসবের মুকাবিলায় চাশতের যে দু’ রাকা’আত নামায পড়া হবে তাই যথেষ্ঠ হবে। (মুসলিম)
১১৪২. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সা) চাশতের নামায ৪ রাকা’আত পড়তেন এবং আরো বাড়াতেন যে পরিমাণ আল্লাহ ইচ্ছা করতেন। (মুসলিম)
১১৪৩. হযরত উম্মে হানী ফাখিতাহ বিনতে আবু তালিব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি মক্কা বিজয়ের বছর রাসূলুল্লাহ (সা)-এর নিকট গেলাম। আমি তাঁকে গোসলরত অবস্থায় পেলাম। তিনি গোসল শেষ করে ৮ রাকা’আত (নফল) নামায পড়লেন। এটা ছিল চাশতের নামায। (বুখারী ও মুসলিম)