আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা
মহান আল্লাহ বলেনঃ
বলে দাও, আমি শুধু তোমাদের একটা নসীহত করছি। (তাহলো এই যে,) আল্লাহর জন্যে তোমরা একা একা ও দুই দুইজন গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করতে প্রস্তুত হয়ে যাও। (সূরা সাবাঃ ৪৬)
আসমান ও জমিন সৃষ্টির মধ্যে এবং রাত ও দিনের আবর্তনে বুদ্বিমান লোকের জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে, যারা দাঁড়ানো, বসা ও শায়িত সব অবস্থায়ই আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আসমান ও জমিনের সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে। (তারা আপনা-আপনি বলে উঠেঃ) হে আল্লাহ! তুমি এসব কিছু নিরর্থক সৃষ্টি করোনি। তুমি (সর্বোতভাবে) ত্রুটিমুক্ত। অতএব, তুমি আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে বাঁচাও। (আলে ইমরানঃ ১৯০-১৯১)
তারা কি উটগুলোকে দেখে না সেগুলোকে কেমন করে সৃষ্টি করা হয়েছে? আকাশমণ্ডলকে দেখে না কিভাবে তাকে সুউচ্চ করা হয়েছে। পাহাড় শ্রেণীকে দেখে না কিভাবে সেগুলোকে শক্ত ও সুদৃঢ়ভাবে দাঁড় করানো হয়েছে। পৃথিবীকে দেখে না কিভাবে তাকে বিছিয়ে দেয়া হয়েছে? যাই হোক, (হে নবী!) তুমি (লোকদের) উপদেশ দিতে থাকো। কেননা তুমি তো একজন উপদেশকারী মাত্র। (সূরা গাশিয়াহঃ ১৭-২১)
মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ
তারা কি পৃথিবীর বুকে বিচরণ করে না আর দেখে না (পূর্ববর্তী জাতিসমূহের পরিণতি কি হয়েছে?) (সূরা ইউসূফঃ ১০৯)
এই পর্যায়ে আরো বহু সংখ্যক আয়াত রয়েছে।
এছাড়া উপরিউক্ত ৬৬ নং হাদীসটি—- বুদ্ধিমান হলো সেই ব্যক্তি, যে আত্নসমালোচনা করে’… এই পর্যায়েরই অন্তর্ভুক্ত।