১৭৫৮. আবদুল্লাহ্ ইবনি মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি এক মহিলাকে চুম্বন করে বসে। পরে সে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] -এর নিকট এসে বিষয়টি তাহাঁর গোচরীভূত করে। তখন আল্লাহ্ তাআলা আয়াত নাযিল করেনঃ
أَقِمِ الصَّلاَةَ طَرَفَي النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنَ اللَّيْلِ إِنَّ الْحِسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ
“দিনের দুপ্রান্তে-সকাল ও সন্ধ্যায় এবং রাতের প্রথম অংশে সলাত কায়েম কর। নিশ্চয়ই ভালো কাজ পাপাচারকে মিটিয়ে দেয়” [সূরাহ হূদ ১১/১১৪]। লোকটি জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহ্র রসূল ! এ কি শুধু আমার বেলায়? আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমার সকল উম্মাতের জন্যই।
[বোখারী পর্ব ৯ অধ্যায় ৪ হাদীস নং ৫২৬; মুসলিম ৪৯ অধ্যায় ৭, হাঃ ২৭৬৩] তাওবা -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
১৭৫৯. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নাবী [সাঃআঃ]-এর কাছে ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি তাহাঁর কাছে এসে বলিল, হে আল্লাহ্র রসূল ! আমি শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে ফেলেছি। তাই আমার উপর শাস্তি প্রয়োগ করুন। কিন্তু তিনি তাকে অপরাধ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিলেন না। আনাস [রাদি.] বলেন তখন সলাতের সময় এসে গেল। সে ব্যক্তি নাবী [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে সলাত আদায় করিল। যখন নাবী [সাঃআঃ] সলাত আদায় করিলেন, তখন সে ব্যক্তি তাহাঁর কাছে গিয়ে দাঁড়াল এবং বলিল, হে আল্লাহ্র রসূল ! আমি শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে ফেলেছি। তাই আমার উপর আল্লাহ্র বিধান প্রয়োগ করুন। তিনি বললেনঃ তুমি কি আমার সাথে সলাত আদায় করনি? সে বলিল, হ্যাঁ। তিনি বলিলেন নিশ্চয় আল্লাহ্ তোমার গুনাহ্ ক্ষমা করে দিয়েছেন। অথবা বললেনঃ তোমার শাস্তি [ক্ষমা করে দিয়েছেন]।
[বোখারী পর্ব ৮৬ অধ্যায় ২৭ হাদীস নং ৬৮২৩; মুসলিম ৪৯ অধ্যায় ৭, হাঃ ২৭৬৪] তাওবা -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস