আল্লাহকে সর্বদা স্মরণ করা

আল্লাহর যিকরের ব্যাপারে লক্ষ্যনীয় বিষয়সমূহঃ

১। আল্লাহর স্মরণ হচ্ছে ইবাদতের ভিত্তি। সকল অবস্থা এবং সময়ে এটি ইবাদতকারীদের আল্লাহর সাথে সম্পর্ক করে দেয়। আয়িশা (রা) বলেন,

আল্লাহর রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সর্বদা আল্লাহর স্মরণ করতেন।১৮৩

আল্লাহর সাথে এই সম্পর্ক হচ্ছে জীবন, তাঁর নৈকট্য হচ্ছে সফলতা এবং সন্তুষ্টি এবং পথভ্রষ্টতা এবং বিপর্যয় থেকে বহু দূরে থাকার উপায়।

২। আল্লাহর স্মরণ মুনাফিক্বদের থেকে বান্দাকে আলাদা করে। কারণ মুনাফিক্বদের একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা আল্লাহকে খুবই কম স্মরণ করেঃ

‘‘….এবং আল্লাহকে খুবই কম স্মরণ করে।”১৮৪

৩। শয়তান বান্দাদের উপর বিজয়ী হতে পারে না যদি না তারা আল্লাহর স্মরণ থেকে অমনোযোগী হয়। আল্লাহর স্মরণ হচ্ছে ঢালের ন্যায়।

৪। যিকর হচ্ছে বান্দার সুখের উপায়ঃ

“… নিশ্চয়ই আল্লাহর স্মরনেই হৃদয় প্রশান্তি লাভ করে।”
১৮৫

৫। আল্লাহকে সর্বদা স্মরণ করা। জানড়বাতে বান্দাদের কোন আফসোস থাকবে না শুধু দুনিয়ার ঐ সময়ের জন্য যা সে আল্লাহর স্মরণ ব্যতীত কাটিয়েছে।

৬। আল্লাহ ঐ ব্যক্তিকে স্মরণ করেন যে আল্লাহকে স্মরণ করে।

“আমাকে স্মরণ কর, আমি তোমাদেরকে স্মরণ করব।”১৮৬

একজন ব্যক্তি অনেক খুশি হয় যখন তাকে সংবাদ দেয়া হয় যে শাসকরা তাকে নিয়ে আলোচনা করেছে তাদের সমাবেশে এবং তার প্রশংসা করেছে। সুতরাং কিরূপ উপলব্দি হওয়া উচিত, আল্লাহ, যিনি বিশ্বজগতের রাব্ব, এর চেয়ে উত্তম সমাবেশে তাকে স্মরণ করেছেন?

৭। আল্লাহর স্মরণ দ্বারা এমন কিছু বোঝায় না যে দুই একটি শব্দ উচ্চারন করা যখন হৃদয় কি বলছে তা থেকে উদাসীন থাকে এবং আল্লাহর মহত্বতা এবং আনুগত্য থেকে মন উদাসীন থাকে।

সুতরাং জিহ্বা দ্বারা স্মরণ করার নিঃসন্দেহে এর দিকে মনোযোগ দেয়া, অর্থের দিকে খেয়াল করাকে অন্তর্ভুক্ত করে।

“আল্লাহকে স্মরণ কর তোমার নিজের মধ্যে, বিনীতভাবে এবং ভয় সহকারে এবং উচু শব্দে নয়, সকাল এবং সন্ধ্যায় এবং তাদের মধ্যে হইও না যারা গাফেল।”১৮৭

 

 

 


১৮৩ মুসলিম হা/৩৭৩।
১৮৪ আন নিসা, ৪ঃ১৪২১৮৩ মুসলিম হা/৩৭৩।
১৮৪ আন নিসা, ৪ঃ১৪২
১৮৫ আর রাদ, ১৩ঃ২৮
১৮৬ সূরা বাক্বারাহ ২ঃ১৫২
১৮৭ সুরা, আল আ’রাফ ৭ঃ২০৫

Was this article helpful?

Related Articles