৮০৭. উসামাহ ইবনি যায়দ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] আরাফাহর ময়দান হইতে রওনা হলেন এবং উপত্যকায় পৌঁছে নেমে তিনি পেশাব করিলেন। অতঃপর উযূ করিলেন কিন্তু উত্তমরূপে উযূ করিলেন না। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল ! সালাত আদায় করবেন কি? তিনি বললেনঃ সালাতের স্থান তোমার সামনে। অতঃপর তিনি আবার সওয়ার হলেন। অতঃপর মুযদালিফায় এসে সওয়ারী থেকে নেমে উযূ করিলেন। এবার পূর্ণরূপে উযূ করিলেন। তখন সালাতের জন্য ইক্বামাত দেয়া হল। তিনি মাগরিবের সালাত আদায় করিলেন। অতঃপর সকলে তাহাদের অবতরণস্থলে নিজ নিজ উট বসিয়ে দিল। পুনরায় ইশার ইকামাত দেয়া হল। অতঃপর তিনি ঈশার সালাত আদায় করিলেন এবং উভয় সালাতের মধ্যে অন্য কোন সালাত আদায় করিলেন না।
[বোখারী পর্ব ৪/৬ হাঃ ১৩৯, মুসলিম পর্ব ১৫/৪৫, হাঃ ১২৮০] ওমরা হজের নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৮০৮. উরওয়াহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, উসামাহ [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করা হলো, তখন আমি সেখানে উপবিষ্ট ছিলাম, বিদায় হাজ্জের সময় আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] যখন আরাফাহ হইতে ফিরতেন তখন তাহাঁর চলার গতি কেমন ছিল? তিনি বলিলেন, আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] দ্রুতগতিতে চলতেন এবং যখন পথ মুক্ত পেতেন তখন তার চেয়েও দ্রুতগতিতে চলতেন।
[বোখারী পর্ব ২৫/৯২ হাঃ ১৬৬৬, মুসলিম পর্ব ১৫/৪৭, হাঃ ১২৮৬] ওমরা হজের নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৮০৯. আবু আইয়ুব আনসারী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বিদায় হাজ্জের সময় মুযদালিফাহ্য় মাগরিব এবং ইশা একত্রে আদায় করিয়াছেন
[বোখারী পর্ব ২৫/৯৬ হাঃ ১৬৭৪, মুসলিম পর্ব ১৫/৪৭, হাঃ ১২৮৭] ওমরা হজের নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৮১০. সালিম বিন আবদুল্লাহ বিন উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] যখন দ্রুত সফর করিতেন তখন মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করিতেন।
[বোখারী পর্ব ১৮/১৩ হাঃ ১১০৮, মুসলিম পর্ব ১৫/৪৭ হাঃ ৭০৩] ওমরা হজের নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস