১৬২৮. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, إِذْ هَمَّتْ طَائِفَتَانِ مِنْكُمْ أَنْ تَفْشَلَا যখন তোমাদের মধ্যে দুদলের সাহস হারাবার উপক্রম হয়েছিল আয়াতটি আমাদের সম্পর্কে তথা বনূ সালিমাহ এবং বনু হারিসাহ সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে। আয়াতটি অবতীর্ণ না হোক তা আমি চাইনি। কেননা এ আয়াতেই আল্লাহ বলেছেন, আল্লাহ উভয় দলেরই সাহায্যকারী।
{মুসলিম ৪৪/৩৯, হাঃ ২৪৯৯} [বোখারী পর্ব ৬৩ অধ্যায় ১৮ হাদীস নং ৪০৫১]
১৬২৯. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হার্রায় যাদেরকে শহীদ করা হয়েছিল তাহাদের খবর শুনে শোকে মুহ্যমান হয়েছিলাম। আমার এ শোকের সংবাদ যায়দ ইবনি আরকাম [রাদি.]-এর কাছে পৌঁছলে তিনি আমার কাছে পত্র লিখেন। পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, তিনি রসূল কে [সাঃআঃ] বলিতে শুনেছেন,
اللهُمَّ اغْفِرْ لِلأَنْصَارِ، وَلأَبْنَاءِ الأَنْصَارِ
হে আল্লাহ্! আনসার ও আনসারদের সন্তানদেরকে তুমি ক্ষমা করে দাও। এ দুআয় রসূল [সাঃআঃ] আনসারদের সন্তানদের সন্তানদের জন্য দুআ করিয়াছেন কিনা এ ব্যাপারে ইবনি ফায্ল [রাদি.] সন্দেহ করিয়াছেন।
[বোখারী পর্ব ৬৫ অধ্যায় ৬৩ হাদীস নং ৪৯০৬; মুসলিম ৪৪/৪৩, হাঃ ২৫০৬]
১৬৩০. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, [আনসারের] কতিপয় বালক-বালিকা ও নারীকে রাবী বলেন, আমার মনে হয়- তিনি বলেছিলেন, কোন বিবাহ অনুষ্ঠান শেষে ফিরে আসতে দেখে নাবী [সাঃআঃ] তাঁদের উদ্দেশে দাঁড়িয়ে গেলেন। এরপর তিনি বলিলেন, আল্লাহ্ জানেন, তোমরাই আমার সবচেয়ে প্রিয়জন। কথাটি তিনি তিনবার বলিলেন।
[বোখারী পর্ব ৬৩ অধ্যায় ৫ হাদীস নং ৩৭৮৫; মুসলিম ৪৪/৪৩, হাঃ নং ২৫০৭]
১৬৩১. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একজন আনসারী মহিলা তার শিশুসহ রাসূলাল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর নিকট হাযির হলেন। রাসূলাল্লাহ্ [সাঃআঃ] তার সঙ্গে কথা বলিলেন এবং বলিলেন, ঐ সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ, লোকদের মধ্যে তোমরাই আমার সবচেয়ে প্রিয়জন। কথাটি তিনি দুবার বলিলেন।
[বোখারী পর্ব ৬৩ অধ্যায় ৫ হাদীস নং ৩৭৮৬; মুসলিম পর্ব ৪৪ হাঃ নং ২৫০৯]
১৬৩২. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেন, আনসারগণ আমার অতি আপনজন ও বিশ্বস্ত লোক। লোকসংখ্যা বাড়তে থাকিবে আর তাহাদের সংখ্যা কমতে থাকিবে। তাই তাহাদের নেক্কারদের নেক আমালগুলো কবূল কর এবং তাহাদের ভুল-ত্রুটি মাফ করে দাও।
[বোখারী পর্ব ৬৩ অধ্যায় ১১ হাদীস নং ৩৮০১; মুসলিম ৪৪/৪৩, হাঃ নং ২৫১০]