আত্মীয়তার সম্পর্ক ও তা বিচ্ছিন্ন করা হারাম।

১৬৫৫. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেন, আল্লাহ্ তাআলা সৃষ্টিকুলকে সৃষ্টি করেন। এ থেকে তিনি নিস্ক্রান্ত হলে রাহিম [রক্ত সম্পর্কে] দাঁড়িয়ে পরম করুণাময়ের আঁচল টেনে ধরল। তিনি তাকে বলিলেন, থামো। সে বলিল, আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী লোক থেকে আশ্রয় চাওয়ার জন্যই আমি এখানে দাঁড়িয়েছি। আল্লাহ্ বলিলেন, যে তোমাকে সম্পর্কযুক্ত রাখে, আমিও তাকে সম্পর্কযুক্ত রাখব; আর যে তোমার থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করে, আমিও তার থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করব এতে কি তুমি খুশী নও? সে বলিল, নিশ্চয়ই, হে আমার প্রভু। তিনি বলিলেন, যাও তোমার জন্য তাই করা হল।

আবু হুরাইরাহ [রাদি.] বলেন, ইচ্ছে হলে তোমরা পড়, “ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে সম্ভবত তোমরা পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করিবে এবং আত্মীয়তার বাঁধন ছিন্ন করিবে।”

[বোখারী পর্ব ৬৫ অধ্যায় ৪৭ হাদীস নং ৪৮৩০; মুসলিম ৪৫ অধ্যায় ৬, হাঃ ২৫৫৪]


১৬৫৬. যুবায়র ইবনি মুতইম [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি নাবী [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেনঃ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করিবে না।

[বোখারী পর্ব ৭৮ অধ্যায় ১১ হাদীস নং ৫৯৮৪; মুসলিম ৪৫ অধ্যায় ৬, হাঃ ২৫৫৬]


১৬৫৭. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনিয়াছি, যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে, তার জীবিকা বৃদ্ধি হোক অথবা তাহাঁর মৃত্যুর পরে সুনাম থাকুক, তবে সে যেন আত্মীয়ের সঙ্গে সদাচরণ করে।

[বোখারী পর্ব ৩৪ অধ্যায় ১৩ হাদীস নং ২০৬৭; মুসলিম ৪৫ অধ্যায় ৬, হাঃ ২৫৫৭]

Was this article helpful?

Related Articles