মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেনঃ
তুমি যখন নামাযে দাঁড়াও, তখন তিনি তোমাকে ও মুসল্লিদের মধ্যে তোমার নড়াচড়া পর্যবেক্ষণ করেন। (সূরা শু’আরাঃ ২১৮-২১৯)
তিনি আরো বলেনঃ
তোমরা যেখানেই থাকো, আল্লাহ তোমাদের সাথেই থাকেন। (সূরা হাদীদঃ ৪)
তিনি আরো বলেনঃ
আল্লাহর কাছে আসমান ও জমিনের কোনো কিছুই গোপন থাকে না। (সূরা আলে ইমরানঃ ৫)
তিনি আরো বলেনঃ
নিশ্চয়ই তোমার প্রভু (তাঁর বিরোধীদের প্রতি) প্রখর দৃষ্টি রাখছেন। (সূরা আল-ফজরঃ ১৪)
তিনি আরো বলেনঃ
আল্লাহ চোখের বিশ্বাসঘাতকতা (অর্থ্যাৎ নিষিদ্ধ দৃষ্টি) ও মনের গোপন কথা সম্পর্কে অবহিত। (সূরা মুমিনঃ ১৯)
৬০. হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (রা) বর্ণনা করেনঃ একদিন আমি রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বসে আছি। এমন সময় হঠাৎ সেখানে একটি (অচেনা) লোক উপস্থিত হলো। লোকটির পোশাক-আশাক ছিল খুবই ধবধবে সাদা। তার মাথার চুলগুলো ছিল কুচকুচে কালো। তার শরীরে সফরের কোন চিহ্ন দেখা যাচ্ছিল না। আর আমাদেরও কেউ তাকে চিনতে পারছিল না। লোকটি সোজা রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে গিয়ে বসল। তারপর তার জানু রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জানুর সাথে লাগিয়ে দিয়ে নিজের দু’হাত দু’টি উরুর ওোপর স্থাপন করে বললঃ ‘হে মুহাম্মদ! আমায় ইসলামের পরিচয় বলে দিন’। রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ইসলাম হলো এই যে, তুমি সাক্ষ্য দেবে আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল। সেই সঙ্গে তুমি নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং রমযানের রোযা পালন করবে আর সামর্থ্য থাকলে হজ্ব আদায় করবে। আগন্তুক বলল, আপনি যথার্থই বলেছেন।’ আমরা লোকটির এ আচরণ দেখে বিস্মিত হলাম যে, সে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেসও করছে আবার তার কথা যথার্থ বলে মন্তব্যও করেছ। লোকটি আবার অনুরোধ করলঃ আপনি আমায় ঈমানের পরিচয় বলে দিন। রাসূলে আকরাম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ঈমান হচ্ছে এই যে, তুমি আল্লাহর, তাঁর ফেরেশতা, তাঁর কিতাবসমূহ, তাঁর রাসূলগণ, কিয়ামত দিবস এবং তকদীরের ভাল-মন্দের প্রতি বিশ্বাস পোষণ করবে।’ লোকটি বলল, আপনি যথার্থই বলেছেন। সে আবারও অনুরোধ করলঃ ‘আপনি আমায় ইহসানের পরিচয় বলে দিন। ‘তিনি বললেনঃ সেটা এই যে, তুমি আল্লাহর ইবাদত এই মনোভাব নিয়ে করবে যে তুমি তাঁকে দেখছ। তুমি যদি তাকে না দেখ, তবে তিনি তোমায় নিশ্চয়ই দেখছেন বলে মনে করবে।’ অতঃপর আগন্তুক বললঃ কিয়ামতের ব্যাপারে আমায় কিছু বলুন। রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ‘যাকে এ প্রশ্ন করা হয়েছে সে প্রশ্নকারী অপেক্ষা বেশি কিছু জানে না’। আগন্তুক বলল, ‘তাহলে কিয়ামতের লক্ষণগুলো সম্পর্কে কিছু বলুন’। রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ লক্ষণ হচ্ছে এই যে, দাসী তার মনিবকে প্রসব করবে। আর নগ্ন পা ও উলঙ্গ শরীর বিশিষ্ট গরীব মেষ পালকদেরকে দেখতে পাবে যে, তারা সুউচ্চ দালান-কোঠায় বসে অহংকার করছে। এরপর লোকটি হঠাৎ চলে গেল। আমি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ‘উমর! তুমি কি এই লোকটির পরিচয় জানো? আমি বললামঃ ‘এ বিষয়ে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন’। রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ‘ইনি হচ্ছেন জিব্রাঈল। তিনি তোমাদেরকে দ্বীন (এর মৌল বিষয়াদি) শিখাতে এসেছিলেন।’ (মুসলিম)
৬১. হযরত আবু যার ও মুয়ায ইবনে জাবাল (রা) বর্ণনা করেনঃ রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘তুমি যেখানেই থাকো, আল্লাহকে ভয় করে চলো এবং মন্দ কাজ করে বসলে সঙ্গে সঙ্গে ভালো কাজ করো। তাহলে ভালো কাজ মন্দ কাজকে মুছে ফেলবে আর মানুষের সাথে সদাচারণ করো।’ (তিরমিযী)
ইমাম তিরমিযী এই হাদীসটি বর্ণনা প্রসঙ্গে একে ‘হাসান হাদীস’ রূপে অভিহিত করেছেন।
৬২. হযরত ইবনে আব্বাস (রা) বর্ণনা করেনঃ আমি একদিন রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পিছনে (কোন জানোয়ারের পিঠে) বসা ছিলাম। তখন তিনি আমায় বললেনঃ হে বৎস! আমি তোমায় কয়েকটি (গুরুত্বপূর্ণ) কথা শিখিয়ে দিচ্ছি। (খুব মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করো)। আল্লাহর নির্দেশাবলীর হেফাজত ও অনুসরণ করো, আল্লাহও তোমায় হেফাজত করবেন। আল্লাহর হক (সঠিকভাবে) আদায় করো। তাহলে তাঁকেও তোমার সঙ্গে পাবে। কখনও কোন জিনিস চাইতে হলে আল্লাহর কাছেই চাইবে। কোনো সাহায্যের প্রয়োজন হলেও আল্লাহরই কাছে চাইবে। জেনে রাখো, সমগ্র সৃষ্টিকূল এক সঙ্গে মিলেও যদি তোমার উপকার করতে চায় তবে আল্লাহ তোমার ভাগ্যে যা নির্ধারণ করে রেখেছেন, তারা তার বেশি কোনো উপকার করতে পারবে না। পক্ষান্তরে তারা যদি এক সঙ্গে মিলে তোমার কোন ক্ষতি (বা অপকার) করতে চায়, তবে আল্লাহ তোমার জন্য যা নির্ধারণ করে রেখেছেন, তার বেশি কোনো অপকার তারা করতে পারবে না। (জেনে রাখো কলম তুলে রাখা হয়েছে এবং কিতাবাদি শুকিয়ে গেছে। অর্থ্যাৎ তকদীর চুড়ান্তভাবে নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে। তাতে আর কোনো পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের অবকাশ নেই।)
ইমাম তিরমিযী এ হাদীসটিকে সহীহ ও হাসান হাদীসরূপে আখ্যায়িত করেছেন। তিরমিযী ছাড়া অন্যান্য হাদীসগ্রন্থে এই বক্তব্যের সাথে আরো সংযুক্ত হয়েছেঃ আল্লাহর অধিকার হেফাজত করো, তাহলে তাঁকে পাবে নিজের সামনে। সুদিনে আল্লাহকে স্মরন রাখো, তাহলে দুর্দিনে তিনি তোমায় স্মরণ করবেন। জেনে রাখো, যে জিনিস তুমি পাওনি, তা (মূলত) তোমার জন্য নয়। আরো জেনে রাখো, আল্লাহর মদদ রয়েছে সবরের সাথে। আর প্রত্যেক দুঃখের সাথে আছে সুখ।
৬৩. হযরত আনাস (রা) বর্ণনা করেনঃ তোমরা এমন সব কাজ করে থাকো, যেগুলো তোমাদের দৃষ্টিতে চুল অপেক্ষাও বেশি হালকা; কিন্তু আমরা রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে সেগুলোকে অত্যন্ত ক্ষতিকর রূপে গণ্য করতাম। (বুখারী)
৬৪. হযরত আবু হুরাইরা (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা (বান্দার ব্যাপারে) আত্নসম্মান বোধ করেন; তাই মানুষের জন্য আল্লাহ যা নিষিদ্ধ (হারাম) করেছেন, সে যখন তাতে লিপ্ত হয়, তখনই আল্লাহর আত্নসম্মান বোধ অত্যন্ত প্রবল হয়ে উঠে।১ (বুখারী ও মুসলিম)
১* একথার মর্মার্থ এই যে, আল্লাহ যখন কোনো কাজ নিষিদ্ধ করেন, তখন মানুষ তা নিদ্বির্ধায় মেনে চলবে, এটাই একান্তভাবে কাম্য। কিন্তু মানুষ যখন তা অগ্রাহ্য করে, তখন সে প্রকারান্তরে আল্লাহর সিদ্ধান্তকেই অমর্যাদা করে। যা আল্লাহর পক্ষে অসহনীয়।- অনুবাদক
৬৫. হযরত আবু হুরাইরা (রা) বর্ণনা করেন, তিনি রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেনঃ বনী ইসরাইলের মধ্যে তিনটি লোক ছিলঃ একজন কুষ্ঠ রোগী, দ্বিতীয় জন টেকো এবং তৃতীয় জন অন্ধ। আল্লাহ তাদের পরীক্ষা গ্রহণের ইচ্ছা করলেন এবং এ লক্ষ্যে একজন ফেরেশতাকে তাদের কাছে পাঠালেন। তিনি কুষ্ঠ রোগীটিকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার সবচেয় প্রিয় জিনিস কোনটি? সে বললঃ ‘সুন্দর রঙ, সুন্দর ত্বক এবং সেই রোগ থেকে মুক্তি, যার দরুন লোকেরা আমায় ঘৃনা করে।’ ফেরেশতা তার শরীরটা মুছে দিলেন। এতে তার রোগটা সেরে গেল এবং তাকে সুন্দর রং দান করা হলো। এরপর তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কোন্ সম্পদ তোমার কাছে সবচাইতে প্রিয়? সে বললঃ ‘উট কিংবা গরু।’ (এটা বর্ণনাকারী সন্দেহ)। তখন লোকটিকে দশ মাসের গর্ভবতী একটি উট দেয়া হলো। ফেরেশতা বললেনঃ ‘আল্লাহ এতে তোমায় বরকত দিন।’
এরপর তিনি টেকো লোকটির কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার সবচেয় প্রিয় জিনিস কোনটি? সে বললঃ ‘সুন্দর চুল এবং এই টাক থেকে মুক্তি, যার দরুন লোকেরা আমায় ঘৃনা করে। ফেরেশতা তার মাথাটা মুছে দিলেন। এতে তার টাক সেরে গেল এবং তার মাথায় সুন্দর চুল গজালো। ফেরেশতা জিজ্ঞেস করলেনঃ কোন্ সম্পদ তোমার কাছে অধিকতর প্রিয়? সে বললোঃ ‘গরু’। তখন তাকে একটি গর্ভবতী গাভী দান করা হলো। তিনি বললেনঃ আল্লাহ এতে তোমায় বরকত দান করুন। এরপর তিনি অন্ধ লোকটির কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেনঃ ‘তোমার সবচেয়ে প্রিয় জিনিস কি?’ সে বললঃ ‘আমার চোখ’। আল্লাহ আমার চোখ ফিরিয়ে দিন, যাতে আমি মানুষকে দেখতে পারি। ফেরেশতা তার চোখ স্পর্শ করলেন। এতে তার অন্ধত্ব ঘুচে গেল, আল্লাহ তার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিলেন। ফেরেশতা জিজ্ঞেস করলেনঃ ‘কোন্ সম্পদ তোমার কাছে অধিকতর প্রিয়? লোকটি বললঃ ‘ছাগল’। তখন তাকে এমন একটি ছাগী দেওয়া হলো, যা বেশি বাচ্চা দান করে। এরপর উট, গাভী ও ছাগলের বাচ্চা জন্মালো। এতে উট দ্বারা একটি মাঠ, গরু দ্বারা আরেকটি মাঠ এবং ছাগল দ্বারা অন্য একটি মাঠ একেবারে পূর্ণ হয়ে গেল।
এরপর তিনি কুষ্ঠ রোগীর কাছে এসে তার প্রথম আকৃতি ধারণ করে বললেনঃ ‘দেখ, আমি একজন মিসকিন। সফরে আমার সবকিছু ফুরিয়ে গিয়েছে। এখন আল্লাহ ছাড়া এমন কেউ নেই, যার সাহায্যে আমি আমার গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারি। যে আল্লাহ তোমায় সুন্দর রং এবং সুন্দর ত্বক ও প্রচুর ধন-মাল দিয়েছে তার নামে আমি তোমার কাছে একটা উট সাহায্য চাইছি, যাতে করে আমি গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারি।’ সে বললঃ (আমার ওপর তো) ‘অনেকের হক রয়েছে’। তিনি বললেনঃ ‘আমি সম্ভবত তোমাকে চিনি। তুমি না কুষ্ঠ রোগী ছিলে? তোমাকে না লোকেরা ঘৃনা করত? তুমি না নিঃস্ব ছিলে? এখন আল্লাহ তোমায় সম্পদ দিয়েছেন।’ সে বললঃ ‘আমি তো এ সম্পদ পূর্বপুরুষ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি।’ তিনি বললেনঃ তুমি যদি মিথ্যাচারী হয়ে থাকো, তাহলে আল্লাহ যেন তোমায় পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেন।’
এরপর তিনি টেকো লোকটির কাছে এসে তার পূর্বের আকৃতি ধারণ করে সেই একই কথার পুনরাবৃত্তি করলেন, যা প্রথম লোকটিকে বলেছিলেন। টেকো লোকটিও সেই উত্তরই দিল, যা পূর্বোক্ত লোকটি দিয়েছিল। ফেরেশতা একেও বললেনঃ ‘তুমি যদি মিথ্যাচারী হয়ে থাকো, তাহলে আল্লাহ যেন তোমায় পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেন।’ এরপর তিনি অন্ধ লোকটির কাছে তার পূর্বের আকৃতি ধারণ করে এসে বললেনঃ আমি একজন নিঃস্ব (মিসকিন) ও পথিক। আমার সবকিছু সফরে ফুরিয়ে গেছে। এখন গন্তব্যস্থলে পৌঁছার জন্য আমার আল্লাহ ছাড়া আর কোনো সম্বল নেই। তাই সে আল্লাহর নামে তোমার কাছে একটি ছাগল সাহায্য চাইছি, যিনি তোমার চোখকে নিরাময় করে দিয়েছেন। লোকটি বললঃ ‘আমি বাস্তবিকই অন্ধ ছিলাম। আল্লাহ আমার দৃষ্টিশক্তি ফেরৎ দিয়েছেন; সুতরাং তুমি তোমার ইচ্ছামতো মাল-সামান নিয়ে যাও এবং যা ইচ্ছা রেখে যাও।’ আল্লাহর কসম! আজ তুমি আল্লাহর ওয়াস্তে যা কিছু নেবে, তাতে আমি কোন বাধা দেব না।’ ফেরেশতা বললেনঃ তোমার ধন-মাল তোমার কাছেই থাকুক। তোমাদের শুধু পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তোমার প্রতি সন্তুষ্ট এবং তোমার অন্য দু’জন সঙ্গীর প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছেন। (বুখারী ও মুসলিম)
৬৬. আবু ইয়ালা শাদ্দাদ ইবনে আউস (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘বুদ্ধিমান সেই ব্যক্তি যে তার নফসের প্রবৃত্তির হিসাব গ্রহণ করে এবং মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের জন্য কাজ করে। আর দুর্বল সেই ব্যক্তি, যে স্বীয় নফসের কু-প্রবৃত্তির অনুসরণ করে আবার আল্লাহর কাছেও (ভাল কিছু প্রাপ্তির) আকাংখা পোষণ করে। ঈমাম তিরমিযী এ হাদীসটি বর্ণনা প্রসঙ্গে একে ‘হাসান হাদীস’ আখ্যা দিয়েছেন।
৬৭. হযরত আবু হুরাইরা (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মানুষের বাজে কাজ পরিহার করা ইসলামী সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান।
৬৮. হযরত উমর (রা) রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেনঃ ‘কোন সঙ্গত কারণে স্ত্রীকে প্রহার করা হলে স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না অর্থ্যাৎ, সে তার স্ত্রীকে কোন কারণে মেরেছে।’ (আবু দাউদ)