১৩৫৪. হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স)ইরশাদ করেছেন, শহীদ ৫প্রকার। ১। মহামারীতে মৃত্যুবরণকারী ২। কলেরায় মৃত্যুবরণকারী, ৩। পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণকারী, ৪। দেয়াল চাপা পড়ে মৃত্যুবরণকারী এবং ৫। আল্লাহ্র রাস্তায় জিহাদ করে মৃত্যুবরণকারী।
(বুখারী ও মুসলিম)
১৩৫৫. হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স)ইরশাদ করেছেন, তোমরা নিজেদের মধ্যে কাদেরকে শহীদ। বলে গণ্য কর? সাহাবায়ে কেরাম (রা) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! যে আল্লাহ্র রাস্তায় নিহত হয়েছে সেই শহীদ। বলে গণ্য কর? সাহাবায়ে কেরাম (রা) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! যে আল্লাহ্র রাস্তায় নিহত হয়েছে সেই শহীদ। তিনি উত্তর দিলেন, তবে তো আমার উম্মতের মধ্যে শহীদদের সংখ্যা হবে সামান্য মাত্র। সাহাবায়ে কেরাম (রা) নিবেদন করেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! তবে তারা কারা? তিনি বললেন, যে ব্যক্তি মহামারীতে মারা গেলো সে শহীদ, যে ব্যক্তি পেটের পীড়ায় মারা গেলো সে শহীদ এবং পানিতে ডুবে যার মৃত্যু হলো সেও শহীদ।
(বুখারী ও মুসলিম)
১৩৫৬. হযরত আবদুল্লাহ ইব্নে আমর ইবনুল আস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি তার অর্থ-স্পদ রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয়েছে সে শহীদ।”
(বুখারী ও মুসলিম)
১৩৫৭. হযরত আওয়ার সাঈদ ইব্নে যায়েদ ইব্ন আমর ইবন নুফল (রা) থেকে বর্ণিত। পৃথিবীতে যে ১০জনের পক্ষে বেহেশত সাক্ষ্য প্রদান করা হয়ে তিনি তাদের অন্যতম। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (স)-কে বলতে শুনেছি, “ব্যক্তি নিজের সম্পদ হেফাজত করতে গিয়ে নিহত হয় সে শহীদ। যে ব্যক্তি আত্মরক্ষা করতে গিয়ে নিহত সে শহীদ। যে ব্যক্তি নিজর দ্বীনের হেফাজত করতে গিয়ে নিহত হয়েছে সে শহীদ। আর যে ব্যক্তি নিজের পরিবার পরিজন হেফাজত করতে গিয়ে নিহত হয় সেও শহীদ।”
(আবু দাউদ ও তিরমিযী)
১৩৫৮. হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (স)-এর নিকটে এসে বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! যদি কোন লোক আমার ধন-সম্পদ তাকে দিয়ো না।ঐ ব্যক্তিহ আবার বললো, আপনি কি বলেন, য আমার াসথে লড়তে থাকে? তিনি বললেন, তবে তুমি হবে শহীদ। পুনরায় জিজ্ঞস করলেন, আর যদি আমি তাকে হত্যা করি তবে সেক্ষেত্রে আপনি কি বলেন? তিনি বললেন, তবে সে দোযখী।
(মুসলিম)