স্পর্শ ও নিক্ষেপের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় বাতিল হওয়া ।

৯৬৫. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহ্‌র রসূল [সাঃআঃ] স্পর্শ ও নিক্ষেপের পদ্ধতিতে ক্রয়-বিক্রয় নিষেধ করিয়াছেন।

[বোখারী পর্ব ৩৪ : /৬৩, হাঃ ২১৪৬; মুসলিম ২১/১, হাঃ ১৫১১] লুলু ওয়াল মারজান -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস


৯৬৬. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, দু [দিনের] সওম ও দু [প্রকারের] ক্রয়-বিক্রয় নিষেধ করা হয়েছে, ঈদুল ফিতর ও কুরবানীর [দিনের] সওম এবং মুলামাসাহ ও মুনাবাযাহ [পদ্ধতিতে ক্রয়-বিক্রয়] হইতে।

[বোখারী পর্ব ৩০ : /৬৭, হাঃ ১৯৯৩; মুসলিম ২১/১, হাঃ ১৫১১] লুলু ওয়াল মারজান -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস


৯৬৭. আবু সাঈদ খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহ্‌র রসূল [সাঃআঃ] দু প্রকার কাপড় পরিধান করিতে ও দু প্রকার ক্রয়-বিক্রয় করিতে নিষেধ করিয়াছেন। ক্রয়-বিক্রয়ে তিনি মুলামাসাহ ও মুনাবাযাহ থেকে নিষেধ করিয়াছেন। মুলামাসাহ হল, রাতে বা দিনে একজনের দ্বারা অপর জনের কাপড় হাত দিয়ে স্পর্শ করা। এটুকু ব্যতীত তা আর উলট-পালট করে দেখে না। আর মুনাবাযাহ হল, এক লোকের দ্বারা অন্য লোকের প্রতি তার কাপড় নিক্ষেপ করা। আর দ্বিতীয় ব্যক্তি দ্বারাও তার কাপড় নিক্ষেপ করা এবং এর দ্বারাই তাহাদের ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন হওয়া, দেখা ও পারস্পরিক সম্মতি ব্যতিরেকেই। আর দু প্রকার পোশাক পরিধানের [এর এক প্রকার] হল, ইশতিমালুস-সাম্মা। সাম্মা হল এক কাঁধের উপর কাপড় এমনভাবে রাখা যাতে অন্য কাঁধ খালি থাকে, কোন কাপড় থাকে না। পোশাক পরার অন্য প্রকার হচ্ছে- বসা অবস্থায় নিজের কাপড় দ্বারা নিজেকে এমনভাবে ঘিরে রাখা, যাতে লজ্জাস্থানের উপর কাপড়ের কোন অংশ না থাকে।

[বোখারী পর্ব ৭৭ : /২০, হাঃ ৫৮২০; মুসলিম ২১/১, হাঃ ১৫১১] লুলু ওয়াল মারজান -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

Was this article helpful?

Related Articles