১০০৫. হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলু্ল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ মহান আল্লাহ নবীর সুললিত কণ্ঠে ও সুউচ্চৈস্বরে কুরআন পড়ার প্রতি যত বেশি মনোযোগী হন আর কোন বিষয় শোনার প্রতি তিনি তত বেশি মনোযোগী হন না। (বুখারী ও মুসলিম)
১০০৬. হযরত আবু মূসা আল আশ’আরী (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ তোমাকে দাউদ (আলাইহিস সালাম)-এর সুরের মত সুর দান করা হয়েছে। (বুখারী ও মুসলিম)
মুসলিম শরীফের অন্য এক বর্ণনায় রয়েছেঃ রাসূলুল্লাহ (সা) তাঁকে বলেনঃ “যদি তুমি আমাকে দেখতে যে গত রাত্রে আমি তোমার কুরআন পড়া শুনছিলাম।”
১০০৭. হযরত বারাআ ইবনে আযেব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী করীম (সা) কে এশার নামাযে ‘ওয়াততীন ওয়ায যাইতুনি’ সূরাটি পড়তে শুনেছি। আমি তাঁর অপেক্ষা সুললিত কণ্ঠ আর কারো (পড়তে) শুনিনি। (বুখারী ও মুসলিম)
১০০৮. হযরত আবু লুবাবা বশীর ইবনে আবদুল মুনযির (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (সা) বলেছেন। যে ব্যক্তি সুললিত কণ্ঠে কুরআন পাঠ করে না সে আমার দলভুক্ত নয়। (আবু দাঊদ)
১০০৯. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) আমাকে বললেনঃ আমাকে কুরআন পড়ে শুনাও। আমি জবাব দিলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি আপনাকে কুরআন পড়ে শুনাব অথচ কুরআন ওপর নাযিল করা হয়েছে? তিনি বললেনঃ আমি নিজের ব্যতীত অন্যের মুখ থেকে কুরআন শুনতে ভালোবাসি। অতঃপর আমি তাঁর সামনে সূরা নিসা পড়তে আরম্ভ করলাম। এ সূরাটি পড়তে পড়তে যখন আমি এ আয়াতটিতে আসলাম, “ফা কাইফা ইযা জিয়না মিন কুল্লি উম্মাতিন বি শাহীদীন ওয়া জিয়না বিকা আলা হা-উসায়ি শাহীদা।” (তারপর চিন্তা কর, যখন আমি প্রত্যেক উম্মাতের মধ্য থেকে একজন করে সাক্ষী হাযির করব এবং আপনাকে তাদের ওপর সাক্ষী হিসেবে পেশ করব, তখন কেমন হবে?) (সূরা নিসাঃ ৪১) তখন তিনি বললেনঃ এখন যথেষ্ঠ হয়েছে। আমি তাঁর দিকে ফিরে দেখলাম তাঁর মুবারক চোখ দু’টি থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। (বুখারী ও মুসলিম)