সালাতে ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ ও ‘রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ’ এবং আমীন বলা

২২৯. আবূ হুরায়রাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইমাম যখনঃ (سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ) বলেন, তখন তোমরা (اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ) বলবে। কেননা, যার এ উক্তি মালাইকার (ফেরেশতাগণের) উক্তির সঙ্গে একই সময়ে উচ্চারিত হয়, তার পূর্ববর্তী সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।

সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ১০; আযান, অধ্যায় ১২৫, হাঃ ৭৮১; মুসলিম, পর্ব ৪ : সালাত, অধ্যায় ১৮, হাঃ ৪১০


২৩০. আবূ হুরায়রাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ (সালাতে) ’আমীন’ বলে, আর আসমানে ফেরেশতাগণ ’আমীন’ বলেন এবং উভয়ের ’আমীন’ একই সময় হলে, তার পূর্ববর্তী সব পাপসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।

সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ১০; আযান, অধ্যায় ১১২, হাঃ ৭৮১; মুসলিম, পর্ব ৪: সালাত, অধ্যায় ১৮, হাঃ ৪১০


২৩১. আবু হুরায়রাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রসূল  বলেছেনঃ ইমামغَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ পড়লে তোমরা ’আমীন’ বলো। কেননা, যার এ (আমীন) বলা ফেরেশতাদের (আমীন) বলার সাথে একই সময় হয়, তার পূর্বের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।

সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ১০ : আযান, অধ্যায় ১১৩, হাঃ ৭৮২; মুসলিম, পর্ব ৪ ; সালাত, অধ্যায় ১৮, হাঃ ৪১০

 


নামাজে জোরে বা  উচ্চৈঃস্বরে আমিন না বলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবাগণের আমলের বিপরীত, এবং ইমাম ও মুক্তাদি সকলেরই সরবে আমীন বলতে হবে। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেহরী সালাতে আমীন বলতেন এবং ইমাম যখন আমীন বলে তখন মক্তাদিকে আমীন বলার নির্দেশ দিতেন যেমন হাদিছে বর্ণিত হয়েছে (এ বইয়ের হাদিস নং ২৩০)

সাহাবীদের উচ্চস্বরে আমীন বলাঃ

وَقَالَ عَطَاءٌ أمِيْنَ دُعَاءُ أَمَّنَ ابْنُ الزُّبَيْرِ وَمَنْ وَرَاءَهُ حَتَّى إِنَّ لِلْمَسْجِدِ لَلَجَّةٌ

আতা বলেনঃ “আমীন একটি দুআ। ইবনু  জুবাইর (রঃ) আমীন বলেছেন এবং তাঁর পিছনের লোকেরাও বলেছেন এমনকি মসজিদ আমীন ধ্বনিতে গুঞ্জজিত হয়েছিল। (সহী বুখারি, পর্ব ১ঃ অয়াহীর সূচনা, অধ্যায় ১০৭ তাগলীকুত তা’লিক ২/৩১৮, হাফিয ইবনু হাজার )

আল্লামা আব্দুলহাই লক্ষ্ণৌবী  (রহঃ) বলেনঃ

وَالْإِنْصَافُ أَنَّ الْجَهَرَ قَوِيٌّ مِنْ حَيْثِ الدَّلِيلِ

ন্যায় সঙ্গত কথা হল, দলীল আনুযায়ী  উচ্চ স্বরে ‘আমীন’ বলা মজবুত। (আত তালীকুল মুমাজ্জাদ ১০৩ পৃষ্টা)

গভীর চিন্তা গবেষণার পর আমরা উচ্চ স্বরে আমিন বলাকেই অতি সঠিক পেলাম। কেননা এটা নবী (সঃ) থেকে বর্ণিত রেয়াতের সাথে মিলে। আর নিম্ন স্বরে ‘আমীন’ বলা রেয়াতগুলো দুর্বল, তাই উচ্চ স্বরে বলার রেয়াতের সমকক্ষতা করতে পারবে না । (বিস্তারীত এ বইয়ের ১৬৭ নং পাতা দেখুন)

 

Was this article helpful?

Related Articles