সালাতের গুরুত্ব

নামাযের ফযীলত

আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ

“নিশ্চয় নামায অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ হতে বিরত রাখে।” (সূরা আনকাবুতঃ ৪৫)

 

১০৪৩. হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) কে আমি বলতে শুনেছিঃ তোমরা ভেবে দেখ, তোমাদের কারোর ঘরের দরজায় যদি একটি নদী প্রবাহিত হতে থাকে এবং সে তাতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করতে থাকে, তাহলে তার শরীরে কোন ময়লা অবশিষ্ট থাকবে কি? সাহাবায়ে কিরাম (রা) বললেনঃ না, তার শরীরে কোন ময়লা থাকবে না। তিনি বলেনঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের এটিই হচ্ছে দৃষ্টান্ত। এ নামাযগুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলা গুনাহসমূহ মুছে দেন। (বুখারী ও মুসলিম)


১০৪৪. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ পাঁচটি নামাযের দৃষ্টান্ত হচ্ছে- অনেক পানি বিশিষ্ট একটি নদী প্রবাহিত হয়ে গেছে তোমাদের কারো ঘরের দরজার সামনে দিয়ে। তাতে সে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে। (মুসলিম)


১০৪৫. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রা) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি এক মহিলাকে চুমু খেয়ে নবী করীম (সা)-এর খেদমতে হাযির হয়ে তাঁকে একথা জানাল। ফলে আল্লাহ তা’আলা নাযিল করলেনঃ (অর্থ) “নামায কায়িম কর দিনের দু’ প্রান্তে আর রাতের প্রথমাংশে। নিশ্চয়ই ভাল কাজগুলো খারাপ কাজগুলোকে মিটিয়ে দেয়।” অতঃপর লোকটি বললঃ “এ হুকুমটি কি আমার জন্যই? তিনি জবাব দিলেনঃ আমার সমস্ত উম্মাতের প্রত্যেকের জন্য।”  (বুখারী ও মুসলিম)


১০৪৬. হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামায ও এক জুমু’আ থেকে আর এক জুমু’আ পর্যন্ত পঠিত নামায এর মধ্যকার জন্য কাফফারা, যে পর্যন্ত না কবীরাগুনাহ করা হয়।  (মুসলিম)


১০৪৭. হযরত উসমান ইবনে আফফান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ যদি কোন মুসলমান ফরয নামাযের সময় হলে ভাল করে ওযু করে তারপর খুশু ও খুযু (মহান আল্লাহকে হাযির ও নাযির জেনে ভয় ও বিনয়ের সাথে) সহকারে নামায আদায় করে, তার এ নামায তার আগের সমস্ত গুনাহের কাফফারা হয়ে যায়। যে পর্যন্ত সে কবীরা গুনাহ থেকে বিরত থাকে। আর এ অবস্থা চলতে থাকে সমগ্র কালব্যাপী।   (মুসলিম)


 

Was this article helpful?

Related Articles