৪১২. আসওয়াদ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
বর্ণিত। তিনি বলেন, আবদুল্লাহ্ [ইবনি মাসউদ] [রাদি.] বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন স্বীয় সলাতের কোন কিছু শয়তানের জন্য না করে। তা হল, শুধুমাত্র ডান দিকে ফিরা আবশ্যক মনে করা। আমি নাবী [সাঃআঃ]-কে অধিকাংশ সময়ই বাম দিকে ফিরতে দেখেছি।
*ইকামত হয়ে গেলে কোন নাফল সলাত আদায় করা যাবেনা, এ সংক্রান্ত হাদীস বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় অনেকে ইকামত হয়ে যাবার পরও নফল সলাত আদায় করিতে থাকেন। বিশেষ করে ফাজরের সলাত চলাকালীন সময়ে অনেককেই দেখা যায় সুন্নাত দুরাকাত সলাত আদায় করিতে। ফাজরের জামাআত চলতে থাকলে ঐ জামাআতে শামীল না হয়ে তাড়াহুড়ো করে সুন্নাত পড়ে জামাআতে শামিল হয়া হাদীসের বিরোধিতা করার সামিল।
প্রমাণ নিম্নের হাদীসগুলোঃ
আব্দুল্লাহ ইবনি সারজাস বলেন, এক ব্যক্তি এল। তখন রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]ফজরের সলাতে ছিলেন। ফলে লোকটি দুরাকআত আদায় করে জামাআতে প্রবেশ করিল। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]সলাত শেষ করে তাকে বলিলেন, ওহো অমুক! সলাত কোনটি! যেটি আমাদের সঙ্গে আদায় করলে সেটি না যেটি তুমি একা আদায় করলে? [নাসায়ী মাবসুত ১ম খণ্ড ১০১ পৃষ্ঠা লাহোরী ছাপা] নাবী বলেছেন, যখন ফারয সলাতে তাকবীর দেয়া হয়ে যায় তখন ফারয সলাত ব্যতীত অন্য কোন [নাফল বা সুন্নাত] সলাত হইবে না। [মুসলীম, মিশকাত ৯৬ পৃষ্ঠা]
হানাফী ঈমাম মুহাম্মাদ বলেন, সুন্নাত না আদায় করে জামাআতেই ধুকতে হইবে। [মাসবুত ১ম খণ্ড ১৬৭ পৃষ্ঠা] ফাজরের সুন্নাত সলাত ছুটে গেলে ফারয সলাত আদায়ের পর পরই পড়ে নিবে অথবা কোন জরুরী প্রয়োজন থাকলে এ দুরাকআত সলাত সুর্যোদয়ের পরেও পড়তে পারবেন। [তিরমিজি ১ম খণ্ড]
[বোখারী পর্ব ১০ : /১৯৫ হাঃ ৮৫২, মুসলিম ৬/৭, হাঃ ৭০৭] মুসাফির ব্যক্তির নামাজ-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস