৪০৯. আব্দুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসুল [সাঃআঃ]কে দেখেছি সফরে ব্যস্ততার কারণে তিনি মাগরিবের সলাত বিলম্বিত করিয়াছেন, এমনকি মাগরিব ও ইশার সলাত একত্রে আদায় করিয়াছেন। অপর এক সূত্রে সালিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, ইবনি উমার [রাদি.] মুযদালিফায় মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করিতেন। সালিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আরও বলেন, ইবনি উমার [রাদি.] তাহাঁর স্ত্রী সাফীয়্যাহ বিন্ত আবু উবাইদ-এর দুঃসংবাদ পেয়ে মাদীনা প্রত্যাবর্তনকালে মাগরিবের সলাত বিলম্বিত করেন। আমি তাঁকে বললাম, সলাতের সময় হয়ে গেছে। তিনি বলিলেন, চলতে থাক। আমি আবার বললাম, সলাত? তিনি বলিলেন, চলতে থাক। এমনকি [এভাবে] দুই বা তিন মাইল অগ্রসর হলেন। অতঃপর নেমে সলাত আদায় করিলেন। পরে বলিলেন, আমি নাবী [সাঃআঃ]-কে সফরের ব্যস্ততার সময় এরূপভাবে সলাত আদায় করিতে দেখেছি। আবদুল্লাহ্ [রাদি.] আরো বলেন, আমি নাবী [সাঃআঃ]-কে দেখেছি, সফরে যখনই তাহাঁর ব্যস্ততার কারণ ঘটেছে, তখন তিনি মাগরিবের সলাত [দেরী করে] আদায় করিয়াছেন এবং তা তিন রাকআতই আদায় করিয়াছেন। মাগরিবের সালাম ফিরিয়ে কিছু বিলম্ব করেই ইশার ইকামাত দেয়া হত এবং দুরাকআত আদায় করে সালাম ফিরাতেন। কিন্তু ইশার পরে গভীর রাত না হওয়া পর্যন্ত [নফল] সলাত আদায় করিতেন না।
[বোখারী পর্ব ১৮ : /৬ হাঃ ১০৯২ মুসলিম ৬/৫ হাঃ ৭০৩] মুসাফির ব্যক্তির নামাজ-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
৪১০. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] সূর্য ঢলে পড়ার পূর্বে সফর শুরু করলে আসরের ওয়াক্ত পর্যন্ত যুহ্রের সলাত বিলম্বিত করিতেন। অতঃপর অবতরণ করে দু সলাত একসাথে আদায় করিতেন। আর যদি সফর শুরু করার পূর্বেই সূর্য ঢলে পড়তো তাহলে যুহ্রের সলাত আদায় করে নিতেন। অতঃপর সওয়ারীতে চড়তেন।
[বোখারী পর্ব ১৮ : /১৬ হাঃ ১১১২, মুসলিম ৬/৫, হাঃ ৭০২] মুসাফির ব্যক্তির নামাজ-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস