‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ বলেছে এমন কাফিরকে হত্যা করা হারাম।

৬১. মিক্বদাদ বিন আসওয়াদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

মিক্বদাদ বিন আসওয়াদ (রাঃ) (তিনি হলেন মিক্বদাদ ইবনু ‘আমর আলকিন্দী) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমাকে বলুন, কোন কাফিরের সঙ্গে আমার যদি (যুদ্ধক্ষেত্রে) সাক্ষাৎ হয় এবং আমি যদি তার সঙ্গে লড়াই করি আর সে যদি তলোয়ারের আঘাতে আমার একখানা হাত কেটে ফেলে এবং অতঃপর আমার থেকে বাঁচার জন্য গাছের আড়ালে গিয়ে বলে “আমি আল্লাহ্‌র উদ্দেশে ইসলাম গ্রহণ করলাম” এ কথা বলার পরেও কি আমি তাকে হত্যা করব? তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তাকে হত্যা করবে না। এরপর তিনি বললেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! সে তো আমার একখানা হাত কাটার পর এ কথা বলছে। আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পুনরায় বললেন, না, তুমি তাকে হত্যা করবে না। কেননা, তুমি তাকে হত্যা করলে হত্যা করার পূর্বে তোমার যে মর্যাদা ছিল সে সেই মর্যাদা লাভ করবে, আর ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দেয়ার আগে তার যে মর্যাদা ছিল তুমি সেই স্তরে পৌঁছে যাবে। (বুখারী পর্ব ৬৪ : /১২ হাঃ ৪০১৯)


৬২. উসামাহ বিন যায়িদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

উসামাহ বিন যায়িদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে হুরকাহ নামক স্থানে যুদ্ধের জন্য পাঠালেন। আমরা সেখানে প্রভাত করলাম এবং তাদের উপর আক্রমণ করলাম। আমি এবং একজন আনসার তাদের মধ্য থেকে একজনকে আক্রমণ করলাম। যখন তাকে আমরা কাবু করলাম তখন সে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলল, আনসার সাহাবী তাকে ছেড়ে দেয়। আমি তাকে আমার বল্লম দ্বারা আঘাত করলাম শেষ পর্যন্ত তাকে মেরে ফেলি। যখন আমরা ফিরে আসলাম আমাদের এ সংবাদ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট পৌছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে উসামাহ! তুমি তাকে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলার পর হত্যা করলে! আমি বললাম, সে আত্মরক্ষার জন্য (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ) বলেছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ কথাটা বার বার বলতে থাকেন। আমি আশা করলাম (আফসোস করে) যদি আমি এদিনের পূর্বে ইসলাম গ্রহণ না করতাম। (সেটাই আমার জন্য মঙ্গলজনক হত)। (বুখারী পর্ব ৬৪ : /৪৫ হাঃ ৪২৬৯,)


 

Was this article helpful?

Related Articles