রাত্রির শেষভাগে লোকেদের ভিড়ের পূর্বে দুর্বল এবং বয়স্ক মহিলা ও অন্যদের মুজদালিফা থেকে মিনায় পাঠিয়ে দেয়া মুস্তাহাব এবং অন্যান্যদের ফাজ্‌রের সালাত আদায় পর্যন্ত মুজদালিফায় অবস্থান করা মুস্তাহাব।

৮১২. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা মুযদালিফায় অবতরণ করলাম। মানুষের ভিড়ের আগেই রওয়ানা হওয়ার জন্য সওদা [রাদি.] নাবী [সাঃআঃ]-এর কাছে অনুমতি চাইলেন। আর তিনি ছিলেন ধীরগতি মহিলা। নাবী [সাঃআঃ] তাঁকে অনুমতি দিলেন। তাই তিনি লোকের ভিড়ের আগেই রওয়ানা হলেন। আর আমরা সকাল পর্যন্ত সেখানেই রয়ে গেলাম। এরপর আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] রওয়ানা হলেন, আমরা তাহাঁর সঙ্গে রওয়ানা হলাম। সওদার মত আমিও যদি আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]-এর নিকট অনুমতি চেয়ে নিতাম তাহলে তা আমার জন্য হইতে অধিক সন্তুষ্টির ব্যাপার হতো।

[বোখারী পর্ব ২৫/৯৮ হাঃ ১৬৮১, মুসলিম পর্ব ১৫/৪৯ হাঃ ১২৯০] ওমরা হজের নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস


৮১৩. আসমা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি মুযদালিফার রাতে মুযদালিফার কাছাকাছি স্থানে পৌঁছে সালাতে দাঁড়ালেন এবং কিছুক্ষণ সালাত আদায় করিলেন। অতঃপর বলিলেন, হে বৎস! চাঁদ কি অস্তমিত হয়েছে? আমি বললাম, না। তিনি আরো কিছুক্ষণ সালাত আদায় করিলেন। অতঃপর বলিলেন, হে বৎস! চাঁদ কি ডুবেছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বলিলেন, চল। আমরা রওয়ানা হলাম এবং চললাম। পরিশেষে তিনি জামরায় কঙ্কর মারলেন এবং ফিরে এসে নিজের অবস্থানের জায়গায় ফজরের সালাত আদায় করিলেন। অতঃপর আমি তাঁকে বললাম, হে মহিলা! আমার মনে হয়, আমরা বেশি অন্ধকার থাকতেই আদায় করে ফেলেছি। তিনি বলিলেন, বৎস! আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] মহিলাদের জন্য এর অনুমতি দিয়েছেন।

[বোখারী পর্ব ২৫/৯৮ হাঃ ১৬৭৯, মুসলিম ১৫/৪৯, হাঃ ১২৯১] ওমরা হজের নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস


৮১৪. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] মুযদালিফার রাতে তাহাঁর পরিবারের যে সব লোককে এখানে পাঠিয়েছিলেন, আমি তাঁদের একজন।

[বোখারী পর্ব ২৫/৯৮ হাঃ ১৬৭৮, মুসলিম পর্ব ১৫/৪৯ হাঃ ১২৯৩] ওমরা হজের নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস


৮১৫. বর্ণনাকারী হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] তাহাঁর পরিবারের দুর্বল লোকদের আগেই পাঠিয়ে দিয়ে রাতে মুযদালিফাতে মাশআরে হারামের নিকট উকূফ করিতেন এবং সাধ্যমত আল্লাহর যিকর করিতেন। অতঃপর ঈমাম [মুযদালিফায়] উকূফ করার ও রওয়ানা হওয়ার আগেই তাঁরা [মিনায়] ফিরে যেতেন। তাঁদের মধ্যে কেউ মিনাতে আগমন করিতেন ফজরের সালাতের সময় আর কেউ এরপরে আসতেন, মিনাতে এসে তাঁরা কঙ্কর মারতেন। ইবনি উমার [রাদি.] বলিতেন, তাহাদের জন্য রসূল [সাঃআঃ] কড়াকড়ি শিথিল করে সহজ করে দিয়েছেন।

[বোখারী পর্ব ২৫/৯৮ হাঃ ১৬৭৬, মুসলিম পর্ব ১৫/৪৯, হাঃ ১২৯৫] ওমরা হজের নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

Was this article helpful?

Related Articles