যে ব্যক্তি ন্যায় কাজের নির্দেশ দেয় অথচ সে নিজেই তা করে না এবং অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ করে অথচ সে নিজেই তা করে, তার শাস্তি।

১৮৮২. আবু ওয়াইল [রহ.] থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, উসামাহ [রাদি.]-কে বলা হল, কত ভাল হত! যদি আপনি ঐ ব্যক্তির [উসমান [রাদি.]-এর নিকট যেতেন এবং তাঁর সঙ্গে আলোচনা করতেন। উত্তরে তিনি বললেন, আপনারা মনে করছেন যে আমি তাঁর সঙ্গে আপনাদেরকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলব। অথচ আমি তাঁর সঙ্গে [দাঙ্গা দমনের ব্যাপারে] গোপনে আলোচনা করছি, যেন আমি একটি দ্বার খুলে না বসি। আমি দ্বার উন্মুক্তকারীর প্রথম ব্যক্তি হতে চাই না। আমি আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]-এর নিকট হতে কিছু শুনেছি, যার পরে আমি কোন ব্যক্তিকে- যিনি আমাদের আমীর নির্বাচিত হয়েছেন এ কারণে তিনি আমাদের সবচেয়ে উত্তম ব্যক্তি এ কথা বলতে পারি না। লোকেরা তাঁকে বলল, আপনি তাঁকে কী বলতে শুনেছেন? উসামাহ [রাদি.] বললেন, আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, ক্বিয়ামাতের দিন এক ব্যক্তিকে আনা হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। তখন আগুনে পুড়ে তার নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যাবে। এ সময় সে ঘুরতে থাকবে যেমন গাধা তার চাকা নিয়ে তার চারপাশে ঘুরতে থাকে। তখন জাহান্নামবাসীরা তার নিকট একত্রিত হয়ে তাকে বলবে, হে অমুক ব্যক্তি! তোমার এ অবস্থা কেন? তুমি না আমাদেরকে সৎকাজের আদেশ করতে আর অন্যায়কাজ হতে নিষেধ করতে? সে বলবে, আমি তোমাদেরকে সৎকাজে আদেশ করতাম বটে, কিন্তু আমি তা করতাম না আর আমি তোমাদেরকে অন্যায় কাজ হতে নিষেধ করতাম, অথচ আমিই তা করতাম।

[বুখারী পর্ব ৫৯ অধ্যায় ১০ হাদীস নং ৩২৬৭; মুসলিম ৫৩/৭ হাঃ ২৯৮৯]; সংসারের প্রতি অনাসক্তি – এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

Was this article helpful?

Related Articles