১১২৬. আবূ শুরায়হ ’আদাবী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কথা বলেছিলেন, তখন আমার দু’কান (সে কথা) শুনছিল ও আমার দুচোখ (তাঁকে) দেখছিল। তিনি বলছিলেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীকে সম্মান করে। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের উপর বিশ্বাস করে সে যেন তার মেহমানকে সম্মান করে তার প্রাপ্যের ব্যাপারে। জিজ্ঞেস করা হলোঃ মেহমানের প্রাপ্য কী, হে আল্লাহর রাসূল? তিনি বললেনঃ একদিন একরাত ভালরূপে মেহমানদারী করা আর তিন দিন হলে (সাধারণ) মেহমানদারী, আর তার চেয়েও অধিক হলে তা হল তার প্রতি অনুগ্ৰহ। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভাল কথা বলে অথবা নীরব থাকে।
সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ৭৮: আদব-আচার, অধ্যায় ৩১, হাঃ ৬০১৯; মুসলিম, পর্ব ৩১: কুড়িয়ে পাওয়া বস্তু, অধ্যায় ৩, হাঃ ৪৮
১১২৭. আবূ শুরায়হ কা’বী (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহতে ও শেষ দিনে ঈমান রাখে, সে যেন মেহমানের সম্মান করে। মেহমানের সম্মান একদিন ও একরাত। আর সাধারণ মেহমানদারী তিনদিন ও তিনরাত। এরপরে (তা হবে) ’সাদাকা’। মেযবানকে কষ্ট দিয়ে তার কাছে মেহমানের অবস্থান হালাল নয়।
সহীহুল বুখারী, পর্ব ৭৮: আদব-আচার, অধ্যায় ৮৫, হাঃ ৬১৩৫; মুসলিম, পর্ব ৩১: কুড়িয়ে পাওয়া বস্তু, অধ্যায় ৩, হাঃ ৪৮
১১২৮. ’উকবাহ ইবনু ’আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললাম, আপনি যখন আমাদের কোন অভিযানে পাঠান, আর আমরা এমন গোত্রের কাছে অবতরণ করি, যারা আমাদের মেহমানদারী করে না। এ ব্যাপারে আপনি কী বলেন? তিনি আমাদেরকে বললেন, যদি তোমরা কোন গোত্রের কাছে অবতরণ কর এবং আমাদের জন্য যদি উপযুক্ত মেহমানদারীর আয়োজন করা হয়, তবে তোমরা তা গ্রহণ করবে, আর যদি তা না করে তবে তাদের কাছ হতে মেহমানের হক আদায় করে নিবে।
সহীহুল বুখারী, পর্ব ৪৬ অত্যাচার, কিসাস ও লুণ্ঠন, অধ্যায় ১৮, হাঃ ২৪৬১; মুসলিম, পর্ব ৩১: কুড়িয়ে পাওয়া বস্তু, অধ্যায়, হাঃ ১৭২৭