মাগরিবের আগেকার ও পরের সুন্নত নামাযসমূহ
এই পরিচ্ছেদ সংক্রান্ত ইবনে উমর ও আয়েশার বর্ণনায় ইতিপূর্বে আলোচিত হয়েছে। সে দু’টি সহীহ হাদীস। তাতে বলা হয়েছেঃ নবী (সা) মাগরিবের পরে দু’রাকাত (সুন্নাত) পড়তেন।
১১২৩. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মুগাফফাল (রা) নবী করীম (সা) থেকে বর্ণনা করেনঃ তিনি বলেছেনঃ তোমরা মাগরিবের আগে (দু’ রাকা’আত) পড়। এ কথা তিনি দু’বার বলার পর তৃতীয়বার বলেনঃ তবে যে ইচ্ছা করে (সে পড়তে পারে)। (বুখারী)
১১২৪. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা)-এর বয়োজ্যেষ্ঠ সাহাবীগণকে মাগরিবের সময় (দু’ রাকা’আত পড়ার জন্য) মসজিদের স্তম্ভসমূহের দিকে দ্রুত এগিয়ে যেতে দেখেছি। (বুখারী)
১১২৫. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা)-এর যামানায় আমরা সুর্যাস্তের পর মাগরিবের (ফরযের) আগে দু’ রাকা’আত নামায পড়তাম। তাঁকে বলা হল, রাসূলুল্লাহও (সা) কি ঐ নামাযটি পড়তেন? বললেনঃ তিনি আমাদের ঐ দু’ রাকা’আত পড়তে দেখতেন, কিন্তু আমাদের হুকুম করতেন না এবং নিষেধও করতেন না। (মুসলিম)
১১২৬. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যে সময় আমরা মদীনায় ছিলাম তখন মুয়াযযিন মাগরিবের নামাযের আযান দিলে (সাহাবায়ে কিরাম) মসজিদের স্তম্ভগুলোর দিকে এগিয়ে যেতেন এবং দু’ রাকা’আত (নফল) পড়তেন। এমন কি কোন মুসাফির মসজিদে প্রবেশ করলে, মনে করতো (ফরযের জামাআত) নামায বুঝি হয়ে গেছে। ঐ দু’ রাকা’আত নামায এত বেশি লোক পড়তো যার ফলে মুসাফির এ ধারণা করতো। (মুসলিম)