ফজর ও আসরের নামাযের ফযীলত
১০৪৮. আবু মূসা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দু’টি ঠাণ্ডা (ফজরের ও আসরের) সময়ের নামায পড়ে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (বুখারী ও মুসলিম)
১০৪৯. হযরত আবু যুহাইর আমারাহ ইবনে রুওয়াইবা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ “যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পূর্বে ও সূর্যাস্তের পূর্বে নামায (ফজর ও আসর) পড়বে সে কখনো দোযখে প্রবেশ করবে না।” (মুসলিম)
১০৫০. হযরত জুনদুব ইবনে সুফিয়ান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ফজরের নামায পড়ে সে আল্লাহর দায়িত্বের মধ্যে চলে যায়। অতএব হে বনী আদম! চিন্তা কর মহান আল্লাহ তোমাদের কাছ থেকে তাঁর দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত কোন বস্তু না চান। (মুসলিম)
১০৫১. হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ রাত ও দিনের ফিরিশতাগণ পালাক্রমে তোমাদের নিকট আসে এবং ফজর ও আসরের নামাযে তারা একত্রিত হয়। তারপর রাতের ফিরিশতাগণ উপরে আরোহণ করে। আল্লাহ তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, বস্তুতঃ তিনি তাদের সম্পর্কে বেশি অবহিত। “তোমরা আমার বান্দাদেরকে কি অবস্থায় রেখে এসেছ?” তাঁরা বলে, “আমরা তাদেরকে যখন রেখে আসি তখন তারা নামাযরত ছিল আর আমরা যখন তাদের কাছে পৌঁছেছিলাম তখনো তারা নামাযরত ছিল।” (বুখারী ও মুসলিম)
১০৫২. হযরত জারীর ইবনে আবদুল্লাহ আল-বাজালী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা নবী করীম (সা)-এর নিকট ছিলাম। তিনি পূর্ণিমার রাতে চাঁদের দিকে তাকিয়ে বললেনঃ তোমরা আজকের এ চাঁদকে যেমনভাবে পরিষ্কার দেখছ (আখিরাতেও) তোমাদের রবকে ঠিক এমনি দেখতে পাবে। তাকে দেখতে তোমরা কোন প্রকার কষ্ট বা অসুবিধা অনুভব করবে না। অতঃপর তোমরা যদি সূর্য উদিত হবার পূর্বের ও সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বের সালাতের ওপর অন্য কিছুকে প্রাধান্য না দাও তাহলে তাই কর। (অর্থাৎ এ নামায দু’টি যথা সময়ে আদায় কর।) (বুখারী ও মুসলিম) অন্য একটি বর্ণনায় আছে, অতঃপর তিনি চতুর্দশীর রাতে চাঁদের দিকে তাকান।
১০৫৩. হযরত বুরাইদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আসরের নামায ত্যাগ করল তার আমল বাজেয়াপ্ত হয়ে গেল। (বুখারী)