নেতৃত্ব চাওয়া ও তার প্রতি লালায়িত হওয়া নিষিদ্ধ।

১১৯৭. আবদুর রহমান ইবনি সামুরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বললেনঃ হে আবদুর রহমান ইবনি সামুরাহ! তুমি নেতৃত্ব চেয়ো না। কেননা, চাওয়ার পর যদি নেতৃত্ব পাও তবে এর দিকে তোমাকে সোপর্দ করে দেয়া হইবে। আর যদি না চেয়ে তা পাও তবে তোমাকে এর জন্য সাহায্য করা হইবে।

[বোখারী পর্ব ৮৩ অধ্যায় ১ হাদীস নং ৬৬২২; মুসলিম ৩৩/৩, হাঃ ১৬৫২]


১১৯৮. আবু মূসা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নাবী [সাঃআঃ]-এর কাছে এলাম। আমার সঙ্গে আশআরী গোত্রের দুব্যক্তি ছিল। একজন আমার ডানদিকে, অপরজন আমার বামদিকে। আর রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] তখন মিস্ওয়াক করছিলেন। উভয়েই তাহাঁর কাছে আবদার জানাল। তখন তিনি বললেনঃ হে আবু মূসা! অথবা বলিলেন, হে আবদুল্লাহ্ ইবনি কায়স! রাবী বলেন, আমি বললামঃ ঐ সত্তার কসম! যিনি আপনাকে সত্য দীনসসহ পাঠিয়েছেন, তারা তাহাদের অন্তরে কী আছে তা আমাকে জানায়নি এবং তারা যে চাকরি প্রার্থনা করিবে তা আমি বুঝতে পারিনি। আমি যেন তখন তাহাঁর ঠোঁটের নিচে মিস্ওয়াকের প্রতি লক্ষ্য করছিলাম যে তা এক কোণে সরে গেছে। তখন তিনি বলিলেন, আমরা আমাদের কাজে এমন কাউকে নিয়োগ দিব না বা দেই না যে নিজেই তা চায়। বরং হে আবু মূসা! অথবা বলিলেন, হে আবদুল্লাহ্ ইবনি কায়স! তুমি ইয়ামনে যাও। এরপর তিনি তার পেছনে মুআয ইবনি জাবাল [রাদি.]-কে পাঠালেন। যখন তিনি তথায় পৌঁছলেন, তখন আবু মূসা [রাদি.] তার জন্য একটি গদি বিছালেন। আর বলিলেন, নেমে আসুন। ঘটনাক্রমে তার কাছে একজন লোক শৃঙক্ষলাবদ্ধ ছিল। তিনি জিজ্ঞেস করিলেন, ঐ লোকটি কে? আবু মূসা [রাদি.] বলিলেন, সে প্রথমে ইয়াহূদী ছিল এবং মুসলিম হয়েছিল। কিন্তু পুনরায় সে ইয়াহূদী হয়ে গেছে। আবু মূসা [রাদি.] বলিলেন, বসুন। মুআয [রাদি.] বলিলেন, না, বসব না, যতক্ষণ না তাকে হত্যা করা হইবে। এটাই আল্লাহ্ ও তাহাঁর রাসূলের ফায়সালা। কথাটি তিনি তিনবার বলিলেন। এরপর তার সম্পর্কে নির্দেশ দেয়া হল এবং তাকে হত্যা করা হল। তারপর তাঁরা উভয়েই কিয়ামুল্ লায়ল [রাত জাগরণ] সম্পর্কে আলোচনা করিলেন। তখন একজন বলিলেন, আমি কিন্তু ইবাদাতও করি, নিদ্রাও যাই। আর নিদ্রাবস্থায় ঐ আশা রাখি যা ইবাদাত অবস্থায় রাখি।

[বোখারী পর্ব ৮৮ অধ্যায় ২ হাদীস নং ৬৯২৩; মুসলিম ৩৩/৩, হাঃ ১৮২৪]

Was this article helpful?

Related Articles