জুমু‘আহ্‌র দিন সুগন্ধি লাগানো ও মেসওয়াক করা।

৪৯০. ‘আমর ইব্‌নু সুলাইম আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবূ সা‘ঈদ খুদ্‌রী (রাঃ) হতে বর্ণিত, আমি এ মর্মে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জুমু‘আহ’র দিন প্রত্যেক বালিগের জন্য গোসল করা ওয়াজিব। আর মিস্ওয়াক করবে এবং সুগন্ধি পাওয়া গেলে তা ব্যবহার করবে। (বুখারী পর্ব ১১: /৩ হাঃ ৮৮০, মুসলিম ৭/১, হাঃ ৮৪৬)


৪৯১. তাঊস (রহ.) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি যখন, জুমু‘আহ’র দিন গোসল সম্বন্ধে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণীর উল্লেখ করেন তখন আমি ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন পরিবার পরিজনের সঙ্গে অবস্থান করতেন তখনও কি তিনি সুগন্ধি বা তেল ব্যবহার করতেন? তিনি বললেন, আমি তা জানি না। (বুখারী পর্ব ১১ : /৬ হাঃ ৮৮৫, মুসলিম ৭/১, হাঃ ৮৪৮)


৪৯২. আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ প্রত্যেক মুসলিমের উপর আল্লাহ্‌র হক রয়েছে যে, প্রতি সাত দিনে একবার সে যেন গোসল করে। (বুখারী পর্ব ১১ : /১২ হাঃ ৮৯৮, মুসলিম ৭/২, হাঃ ৮৪৯)


৪৯৩. আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জুমু‘আহ’র দিন জানাবাত গোসলের ন্যায় গোসল করে এবং সলাতের জন্য আগমন করে সে যেন একটি উট কুরবানী করল। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আগমন করে সে যেন একটি গাভী কুরবানী করল। তৃতীয় পর্যায়ে যে আগমন করে সে যেন একটি শিং বিশিষ্ট দুম্বা কুরবানী করল। চতুর্থ পর্যায়ে আগমন করল সে যেন একটি মুরগী কুরবানী করল। পঞ্চম পর্যায়ে যে আগমন করল সে যেন একটি ডিম কুরবানী করল। পরে ইমাম যখন খুত্‌বাহ প্রদানের জন্য বের হন তখন মালায়িকা (ফেরেশতামণ্ডলী) যিক্‌র শ্রবণের জন্য উপস্থিত হয়ে থাকে। (বুখারী পর্ব ১১ : /৪ হাঃ ৮৮১, মুসলিম ৭/২, হাঃ ৮৫০)


 

Was this article helpful?

Related Articles