কুরআন তিলাওয়াতের সাজদাহ্।

৩৩৮. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] একবার আমাদের সামনে এমন এক সূরাহ তিলাওয়াত করিলেন, যাতে সাজদাহ্‌র আয়াত রয়েছে। তাই তিনি সাজদাহ্ করিলেন এবং আমরাও সাজদাহ্ করলাম। ফলে অবস্থা এমন দাঁড়াল যে, আমাদের কেউ কেউ কপাল রাখার জায়গা পাচ্ছিলেন না।

[বোখারী পর্ব ১৭ : /৮ হাঃ ১০৭৫, মুসলিম ৫/২০, হাঃ ৫৭৫ ] নামাজের স্থান-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস


৩৩৯. আবদুল্লাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] মাক্কাহয় সূরাহ আন্-নাজ্‌ম তিলাওয়াত করেন। অতঃপর তিনি সাজদাহ্ করেন এবং একজন বৃদ্ধ লোক ছাড়া তাহাঁর সঙ্গে সবাই সাজদাহ্ করেন। বৃদ্ধ লোকটি এক মুঠো কঙ্কর বা মাটি হাতে নিয়ে তার কপাল পর্যন্ত উঠিয়ে বলিল, আমার জন্য এ যথেষ্ট। আমি পরবর্তী যমানায় দেখেছি যে, সে কাফির অবস্থায় নিহত হয়েছে।

[বোখারী পর্ব ১৭ : /১ হাঃ ১০৬৭, মুসলিম ৫/২০, হাঃ ৫৭৬] নামাজের স্থান-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস


৩৪০. যায়দ ইবনি সাবিত [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আতা ইবনি ইয়াসার যায়দ ইবনি সাবিত [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করিলেন, তার ধারণা নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট সূরা وَالنَّجْمِ [ওয়ান্ নাজ্‌ম] তিলাওয়াত করা হল অথচ এতে তিনি সাজদাহ্ করেননি।

[বোখারী পর্ব ১৭ : /৬ হাঃ ১০৭২, মুসলিম ৫/ ২০০, হাঃ ৫৭৭] নামাজের স্থান-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস


৩৪১. আবু রাফি [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবু হুরাইরা [রাদি.]-এর সঙ্গে ইশার সলাত আদায় করলাম। তিনি إِذَا السَّمَاءُ انْشَقَّتْ সূরাটি তিলাওয়াত করে সাজদাহ্ করিলেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, এ সাজদাহ্ কেন? তিনি বলেন, আমি আবুল কাসিম [সাঃআঃ]-এর পিছনে এ সূরায় সাজদাহ্ করেছি, তাই তাহাঁর সঙ্গে মিলিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আমি এতে সাজদাহ্ করব।

[বোখারী পর্ব ১০ : /১০১ হাঃ ৭৬৮, মুসলিম ৫/২০, হাঃ ৫৭৮] নামাজের স্থান-এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

Was this article helpful?

Related Articles