ইব্রাহীম খালীল [আ]-এর মর্যাদা।

১৫২৯. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলাল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, নাবী ইব্‌রাহীম [আ.] সূত্রধরদের অস্ত্র দিয়ে নিজের খাতনা করেছিলেন যখন তার বয়স ছিল আশি বছর।

[বোখারী পর্ব ৬০ অধ্যায় ৮ হাদীস নং ৩৩৫৬; মুসলিম ৪৩/৪১ হাঃ ২৩৭০]


১৫৩০. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

রাসূলাল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, ইব্‌রাহীম [আ.] তাহাঁর অন্তরের প্রশান্তির জন্য মৃতকে কিভাবে জীবিত করা হইবে, এ সম্পর্কে আল্লাহর নিকট জিজ্ঞেস করেছিলেন, একে যদি “শক” বলে অভিহিত করা হয় তবে এরূপ “শক” এর ব্যাপারে আমরা ইবরাহীম [আ.]-এর চেয়ে অধিক উপযোগী। যখন ইবরাহীম [আ.] বলেছিলেন, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে দেখিয়ে দিন, আপনি কিভাবে মৃতকে জীবিত করেন। আল্লাহ বলিলেন, তুমি কি বিশ্বাস কর না? তিনি বলিলেন, হাঁ, তা সত্ত্বেও যাতে আমার অন্তর প্রশান্তি লাভ করে [আল-বাকারাহঃ ২৬০]। অতঃপর {নাবী [সাঃআঃ] লূত [আ.]-এর ঘটনা উল্লেখ করে বলিলেন।] আল্লাহ লূত [আ.]-এর প্রতি রহম করুন। তিনি একটি সুদৃঢ় খুঁটির আশ্রয় চেয়েছিলেন আর আমি যদি কারাগারে এত দীর্ঘ সময় থাকতাম যত দীর্ঘ সময় ইউসুফ [আ.] কারাগারে ছিলেন তবে তার [বাদশাহ্র] ডাকে সাড়া দিতাম।

[বোখারী পর্ব ৬০ অধ্যায় ১১ হাদীস নং ৩৩৭২; মুসলিম ৪৩/৪১ হাঃ ১৫১]


১৫৩১. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইবরাহীম [আ.] তিনবার ছাড়া কখনও মিথ্যা বলেননি। তন্মধ্যে দুবার ছিল আল্লাহ্‌র ব্যাপারে। তার উক্তি “আমি অসুস্থ”-[সূরাহ আস্সাফফাত ৩৭/৮৯] এবং তাহাঁর অন্য এক উক্তি “বরং এ কাজ করেছে, এই তো তাহাদের বড়টি- [সূরাহ আম্বিয়া ২১/৬৩]। বর্ণনাকারী বলেন, একদা তিনি {ইবরাহীম [আ.]} এবং সারা অত্যাচারী শাসকগণের কোন এক শাসকের এলাকায় এসে পৌঁছলেন। তখন তাকে খবর দেয়া হল যে, এ এলাকায় এক ব্যক্তি এসেছে। তার সঙ্গে একজন সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা আছে। তখন সে তাহাঁর নিকট লোক পাঠাল। সে তাঁকে নারীটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিল, এ নারীটি কে? তিনি উত্তর দিলেন, মহিলাটি আমার বোন। অতঃপর তিনি সারার নিকট আসলেন এবং বলিলেন, হে সারা! তুমি আর আমি ব্যতীত পৃথিবীর উপর আর কোন মুমিন নেই। এ লোকটি আমাকে তোমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিল। তখন আমি তাকে জানিয়েছি যে, তুমি আমার বোন। কাজেই তুমি আমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করো না। অতঃপর সারাকে আনার জন্য লোক পাঠালো। তিনি যখন তার নিকট প্রবেশ করিলেন এবং রাজা তাহাঁর দিকে হাত বাড়ালো তখনই সে পাকড়াও হল। তখন অত্যাচারী রাজা সারাকে বলিল, আমার জন্য আল্লাহর নিকট দুআ কর, আমি তোমার কোন ক্ষতি করব না। তখন সারা আল্লাহর নিকট দুআ করিলেন। ফলে সে মুক্তি পেয়ে গেল। অতঃপর দ্বিতীয়বার তাঁকে ধরতে চাইল। এবার সে পূর্বের মত বা তার চেয়ে কঠিনভাবে পাকড়াও হল। এবারও সে বলিল, আল্লাহর নিকট আমার জন্য দুআ কর। আমি তোমার কোন ক্ষতি করব না। আবারও তিনি দুআ করিলেন, ফলে সে মুক্তি পেয়ে গেল। অতঃপর রাজা তার এক দারোয়ানকে ডাকল। সে তাকে বলিল, তুমি তো আমার নিকট কোন মানুষ আননি। বরং এনেছ এক শয়তান। অতঃপর রাজা সারার খিদমতের জন্য হা-যারাকে দান করিল। অতঃপর তিনি [সারা] তাহাঁর [ইবরাহীম] নিকট আসলেন, তিনি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছিলেন। তখন তিনি হাত দ্বারা ইশারা করে সারাকে বলিলেন, কী ঘটেছে? তখন সারা বলিলেন, আল্লাহ কাফির বা ফাসিকের চক্রান্ত তারই বুকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। আর সে হা-যারাকে খিদমতের জন্য দান করেছে।

আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] বলেন, হে আকাশের পানির ছেলেরা! হা-যারাই তোমাদের আদি মাতা। [আর-বী]

[বোখারী পর্ব ৬০ অধ্যায় ৮ হাদীস নং ৩৩৫৮; মুসলিম ৪৩/৪১ হাঃ ২৩৭১]

Was this article helpful?

Related Articles