আলকাতরা মাখানো পাত্রে, কদুর বোলে, সবুজ কলস ও কাঠের বোলে নাবিজ বানানো নিষিদ্ধ এবং এ বিধান রহিত হয়ে যাওয়া ও বর্তমানে এটা হালাল যতক্ষণ না তা মাতাল করে।

১২৯৬. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেন, কদু [লাউ]র খোলসে এবং আলকাতরা মাখানো পাত্রে নাবিজ তৈরি করো না।

[বোখারী পর্ব ৭৪ অধ্যায় ৪ হাদীস নং ৫৫৮৭; মুসলিম ৩৬/৬, হাঃ ১৯৯২, ১৯৯৩]


১২৯৭. আলী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

নাবী [সাঃআঃ] দুব্বা [কদু বা লাউয়ের খোলস] ও মুযাফ্‌ফাত [আলকাতরার প্রলেপ দেয়া পাত্র] ব্যবহার করিতে নিষেধ করিয়াছেন।

[বোখারী পর্ব ৭৪ অধ্যায় ৮ হাদীস নং ৫৫৯৪; মুসলিম ৩৬/৬, হাঃ ১৯৯৪]


১২৯৮. ইবরাহীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আসওয়াদকে জিজ্ঞেস করলাম যে, আপনি কি উম্মুল মুমিনীন আয়েশা [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, কোন্ কোন্ পাত্রের মধ্যে নাবীয তৈরী করা মাকরূহ। তিনি উত্তর করলেনঃ হাঁ। আমি বলেছিলাম, হে উম্মুল মুমিনীন! কোন্ কোন্ পাত্রের মধ্যে নাবী [সাঃআঃ] নাবীয তৈরী করিতে নিষেধ করিয়াছেন? তখন তিনি বললেনঃ নাবী [সাঃআঃ] আমাদের অর্থাৎ আহলে বায়তকে দুব্বা [কদু বা লাউয়ের খোলস] ও মুযাফ্‌ফাত [আলকাতরার প্রলেপ দেয়া পাত্র] নামক পাত্রে নাবীয তৈরী করিতে নিষেধ করিয়াছেন। [ইবরাহীম বলেন] আমি বললামঃ আয়েশা [রাদি.] কি জার [মাটির কলসী] ও হানতাম [মাটির সবুজ পাত্র] নামক পাত্রের কথা উল্লেখ করেননি? তিনি বললেনঃ আমি যা শুনিয়াছি কেবল তাই তোমাকে বর্ণনা করেছি। আমি যা শুনি নি তাও কি আমি তোমাদের কাছে বর্ণনা করব?

[বোখারী পর্ব ৭৪ অধ্যায় ৮ হাদীস নং ৫৫৯৫; মুসলিম ৩৬/৬, হাঃ ১৯৯৫]


১২৯৯. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেনঃ আবদুল কায়স গোত্রের প্রতিনিধি দল নাবী [সাঃআঃ]-এর দরবারে হাযির হয়ে আরয করলো, ………… আর আমি তোমাদেরকে নিষেধ করছি শুষ্ক কদুর খোলস, সবুজ রং প্রলেপযুক্ত পাত্র, খেজুর কাণ্ড নির্মিত পাত্র, তৈলজ পদার্থ প্রলেপযুক্ত মাটির পাত্র ব্যবহার করিতে।

[বোখারী পর্ব ২৪ অধ্যায় ১ হাদীস নং ১৩৯৮; মুসলিম ৩৬/৬, হাঃ ১৭]


১৩০০. আবদুল্লাহ ইবনি আম্‌র [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন নাবী [সাঃআঃ] এক ধরনের পাত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করিলেন, তখন নাবী [সাঃআঃ]-কে বলা হল, সব মানুষের নিকট তো মশ্‌ক মওজুদ নেই। ফলে নাবী [সাঃআঃ] তাহাদের কলসীর জন্য অনুমতি দেন, তবে আলকাতরার প্রলেপ দেয়া পাত্রের জন্য অনুমতি দেননি।

[বোখারী পর্ব ৭৪ অধ্যায় ৮ হাদীস নং ৫৫৯৩; মুসলিম ৩৬/৬, হাঃ ২০০০]

 

Was this article helpful?

Related Articles