আযাদকৃত গোলামের জন্য আযাদকারী মনিব ছাড়া অন্যকে মনিব গণ্য করা নিষিদ্ধ ।

৯৬৩. ইবরাহীম তায়মী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমার পিতা বর্ণনা করিয়াছেন যে, একদা আলী [রাদি.] পাকা ইটে নির্মিত একটি মিম্বরে আরোহণ করে আমাদের উদ্দেশ্যে খুত্‌বা পাঠ করিলেন। তাহাঁর সঙ্গে একটি তরবারী ছিল, যার মাঝে একটি সহীফা ঝুলন্ত ছিল। তিনি বলিলেন, আল্লাহ্‌র কসম! আমাদের নিকট আল্লাহ্‌র কিতাব এবং যা এ সহীফাতে লিপিবদ্ধ আছে এ ব্যতীত অন্য এমন কোন কিতাব নেই যা পাঠ করা যেতে পারে। অতঃপর তিনি তা খুললেন। তাতে উটের বয়স সম্পর্কে লেখা ছিল এবং লেখা ছিল যে, আয়র [পর্বত] থেকে অমুক স্থান পর্যন্ত মাদীনাহ হারাম [পবিত্র এলাকা] বলে বিবেচিত হইবে। যে কেউ এখানে কোন অন্যায় করিবে তার উপর আল্লাহ্, ফেরেশতাকুল ও সমস্ত মানব সম্প্রদায়ের অভিসম্পাত। আর আল্লাহ্ তাআলা তার ফারয ও নফল কোন ইবাদাতই কবূল করবেন না এবং তাতে আরও ছিল যে, এখানকার সকল মুসলিমের নিরাপত্তা একই পর্যায়ের। একজন নিম্ন পর্যায়ের ব্যক্তিও [অন্য কাউকে] নিরাপত্তা প্রদান করিতে পারবে। যদি কোন ব্যক্তি অপর একজন মুসলিমের প্রদত্ত নিরাপত্তাকে লঙ্ঘন করে, তাহলে তার উপর আল্লাহ্‌র, ফেরেশতাকূলের ও সমস্ত মানব সম্প্রদায়ের লানাত [অভিসম্পাত]। আল্লাহ্ তাআলা তার ফার্‌য ও নফল কোন ইবাদাতই কবূল করবেন না। তাতে আরও ছিল, যদি কোন ব্যক্তি তার [আযাদকারী] মনিবের অনুমতি ব্যতীত অন্য কাউকে নিজের [গোলাম থাকাকালীন সময়ের] মনিব বলে উল্লেখ করে, তাহলে তার উপর আল্লাহ্‌র, ফেরেশতাকুলের ও সমস্ত মানব সম্প্রদায়ের অভিসম্পাত। আর আল্লাহ্ তাআলা তার ফার্‌য, নফল কোন ইবাদাতই গ্রহণ করবেন না।

[বোখারী পর্ব ৯৬ : /৫, হাঃ ৭৩০০; মুসলিম ২০/৪, হাঃ ১৩৭০] এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

Was this article helpful?

Related Articles