আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা) ও তাহাঁর মায়ের মর্যাদা।

১৫৯৭. মূসা আশআরী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবু-কে বলিতে শুনিয়াছি যে, আমি এবং আমার ভাই ইয়ামান হইতে মাদীনাহ্তে আসি এবং বেশ কিছুদিন মাদীনাহ্তে অবস্থান করি। তখন আমরা মনে করতাম যে, আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.] নাবী [সাঃআঃ]-এর পরিবারেরই একজন লোক। কারণ আমরা তাঁকে এবং তাহাঁর মাকে হরহামেশা নাবী [সাঃআঃ]-এর ঘরে প্রবেশ করিতে দেখতাম।

[বোখারী পর্ব ৬২ অধ্যায় ২৭ হাদীস নং ৩৭৬৩; মুসলিম ৪৪/২২ হাঃ ২৪৬০]


১৫৯৮. শাকীক ইব্‌ন সালামাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদা আবদুল্লাহ্ ইবনি মাসউদ [রাদি.] আমাদের সামনে ভাষণ দিলেন এবং বলিলেন, আল্লাহ্‌র শপথ! সত্তরেরও কিছু অধিক সূরাহ আমি রসূল [সাঃআঃ]-এর মুখ থেকে হাসিল করেছি। আল্লাহ্‌র কসম! নাবী [সাঃআঃ]-এর সাহাবীরা জানেন, আমি তাঁদের চেয়ে আল্লাহ্‌র কিতাব সম্বন্ধে অধিক জ্ঞাত; অথচ আমি তাঁদের মধ্যে সর্বোত্তম নই।

শাকীক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, সহাবীগণ তাহাঁর কথা শুনে কী বলেন তা শোনার জন্য আমি মজলিসে বসে থাকলাম, কিন্তু আমি কাউকে অন্যরকম কথা বলে আপত্তি করিতে শুনিনি।

[বোখারী পর্ব ৬৬ অধ্যায় ৮ হাদীস নং ৫০০০; মুসলিম ৪৪/২২, হাঃ ২৪৬২]


১৫৯৯. আব্দুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহ্‌র কসম! যিনি ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই, আল্লাহ্‌র কিতাবে অবতীর্ণ প্রতিটি সূরাহ সম্পর্কেই আমি জানি যে, তা কোথায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং প্রতিটি আয়াত সম্পর্কেই আমি জানি যে, তা কোন্ ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছে। আমি যদি জানতাম যে, কোন ব্যক্তি আল্লাহ্‌র কিতাব সম্পর্কে আমার চেয়ে অধিক জ্ঞাত এবং সেখানে উট পৌঁছতে পারে, তাহলে সওয়ার হয়ে সেখানে পৌঁছে যেতাম।

[বোখারী পর্ব ৬৬ অধ্যায় ৮ হাদীস নং ৫০০২; মুসলিম ৪৪/২২, হাঃ ২৪৬৩]


১৬০০. মাসরূক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবনি আম্‌র [রাদি.]-এর মজলিসে আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.]-এর আলোচনা হলে তিনি বলিলেন, আমি এই লোককে ঐদিন হইতে অত্যন্ত ভালবাসি যেদিন আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি, তোমরা চার ব্যক্তি হইতে কুরআন শিক্ষা কর, আবদুল্লাহ্ ইবনি মাসউদ- সর্বপ্রথম তাহাঁর নাম বলিলেন আবু হুযাইসলামিক ফাউন্ডেশনহ [রাদি.]-এর মুক্ত গোলাম সালিম, উবাই ইবনি কাব [রাদি.] ও মুআয ইবনি জাবাল [রাদি.] থেকে। উবাই [রাদি.] ও মুআয [রাদি.] এ দুজনের কার নাম আগে বলেছিলেন সেটুকু আমার স্মরণ নেই।

[বোখারী পর্ব ৬২ অধ্যায় ২৬ হাদীস নং ৩৭৫৮; মুসলিম ৪৪/২২ হাঃ ২৪৬৪]

Was this article helpful?

Related Articles