৭৭০. নাবী সহধর্মিণী হাফসাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, হে আল্লাহর রসূল ! লোকদের কী হল, তারা উমরাহ শেষ করে হালাল হয়ে গেল, অথচ আপনি উমরাহ হইতে হালাল হচ্ছেন না? তিনি বললেনঃ আমি মাথায় আঠালো বস্তু লাগিয়েছি এবং কুরবানীর জানোয়ারের গলায় মালা ঝুলিয়েছি। কাজেই কুরবানী করার পূর্বে হালাল হইতে পারি […]
হাজ্জ তামাত্তুকারীর উপর কুরবানী করা অপরিহার্য এবং এটা না করিতে পারলে হাজ্জ পালন করা অবস্থায় তিন দিন এবং বাড়ীতে ফিরার পর সাতদিন সওম পালন করিতে হইবে।
৭৬৮. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, বিদায় হাজ্জের সময় আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] হাজ্জ ও উমরাহ একসাথে পালন করিয়াছেন। তিনি হাদী পাঠান অর্থাৎ যুল-হুলাইসলামিক ফাউন্ডেশন হইতে কুরবানীর জানোয়ার সাথে নিয়ে নেন। অতঃপর আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] প্রথমে উমরাহর ইহ্রাম বাঁধেন, এরপর হাজ্জের ইহ্রাম বাঁধেন। সাহাবীগণ তাহাঁর সঙ্গে উমরাহর ও হাজ্জের […]
হাজ্জে তামাত্তু করা বৈধ।
৭৬৭. ইমরান ইবনি হুসাইন [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, তামাত্তু এর আয়াত আল্লাহ্র কিতাবে অবতীর্ণ হয়েছে। এরপর আমরা নাবী [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে তা করছি এবং এর নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কুরআনের কোন আয়াত অবতীর্ণ হয়নি এবং নাবী [সাঃআঃ] ইন্তিকাল পর্যন্ত তা থেকে নিষেধও করেননি। এ ব্যাপারে এক ব্যক্তি নিজের ইচ্ছেনুযায়ী মতামত ব্যক্ত […]
ইহরাম থেকে হালাল হয়ে যাওয়ার বিধান রহিত এবং তা পরিপূর্ণ করার নির্দেশ।
৭৬৬. আবু মূসা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি বাতহা নামক স্থানে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]-এর নিকট গেলাম। তিনি বললেনঃ হাজ্জ সমাধা করেছ? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বললেনঃ কিসের জন্য ইহরাম বেঁধেছিলে? আমি বললাম, নাবী [সাঃআঃ]-এর মত ইহরাম বেঁধে আমি তালবিয়া পাঠ করেছি। তিনি বললেনঃ ভালই করেছ। যাও বায়তুল্লাহর তাওয়াফ কর […]
আরাফাহ্তে অবস্থান করা এবং আল্লাহ তাআলার বাণীঃ “তখন ঐ স্থান থেকে যাত্রা কর লোকেরা যেখান থেকে যাত্রা করে।” [সূরাহ আল-বাক্বারাহ ২/১১৯]
৭৬৪. উরওয়াহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ জাহিলী যুগে হুমস ব্যতীত অন্য লোকেরা উলঙ্গ অবস্থায় [বাইতুল্লাহর] তাওয়াফ করত। আর হুমস্ হলো কুরায়শ এবং তাহাদের ঔরসজাত সন্তান-সন্ততি। হুমসরা লোকেদের সেবা করে সওয়াবের আশায় পুরুষ পুরুষকে কাপড় দিত এবং সে তা পরে তাওয়াফ করত। আর স্ত্রীলোক স্ত্রীলোককে কাপড় দিত এবং এ কাপড়ে সে […]
ইহরামের প্রকারভেদ, আর তা হাজ্জে ইফরাদ এবং তামাত্তু এবং ক্বিরান এবং হাজ্জ ও উমরাহ্কে যুক্ত করা বৈধ এবং হাজ্জ ক্বারেন আদায়কারী কখন তার ইহরাম থেকে হালাল হইবে।
৭৫৫. আয়িশাহ্ [রাদি.] নাবী [সাঃআঃ]-এর সহধর্মিণী হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমরা বিদায় হাজ্জের সময় নাবী [সাঃআঃ]-এর সাথে বের হয়ে উমরাহর নিয়্যাতে ইহরাম বাঁধি। নাবী বললেনঃ যার সঙ্গে কুরবানীর পশু আছে সে যেন উমরাহর সাথে হাজ্জের ইহ্রামও বেঁধে নেয়। অতঃপর সে উমরাহ ও হাজ্জ উভয়টি সম্পন্ন না করা পর্যন্ত হালাল হইতে […]
অসুখ বা অন্য কোন কারণে মুহরিম ব্যক্তির ইহরাম খুলে ফেলার শর্ত করা বৈধ।
৭৫৪. আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] যুবাআহ বিনতে যুবায়র-এর নিকট গিয়ে জিজ্ঞেস করিলেন- তোমার হাজ্জে যাওয়ার ইচ্ছে আছে কি? সে উত্তর দিল, আল্লাহ্র কসম! আমি খুবই অসুস্থ বোধ করছি [তবে হাজ্জে যাবার ইচ্ছে আছে] তার উত্তরে বলিলেন, তুমি হাজ্জের নিয়্যতে বেরিয়ে যাও এবং আল্লাহ্র কাছে এই শর্তারোপ […]
মুহরিম ব্যক্তি মারা গেলে কী করা হইবে।
৭৫৩. আবদুল্লাহ্ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, এক ব্যক্তি আরাফাতে ওয়াকূফ অবস্থায় অকস্মাৎ তার উটনী হইতে পড়ে যায়। এতে তাহাঁর ঘাড় মটকে গেল অথবা রাবী বলেছেন, তাহাঁর ঘাড় মটকে দিল। [যাতে সে মারা গেল]। তখন নাবী [সাঃআঃ] বললেনঃ তাঁকে বরই পাতাসহ পানি দিয়ে গোসল দাও এবং দু কাপড়ে […]
মুহরিম ব্যক্তির মাথা এবং শরীর ধৌত করা বৈধ।
৭৫২. আবু আইউব আনসারী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ আবদুল্লাহ ইবনি হুনায়ন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আব্ওয়া নামক জায়গায় আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] এবং মিসওয়ার ইবনি মাখরামাহ [রাদি.]-এর মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিল। আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] বলিলেন, মুহরিম ব্যক্তি তার মাথা ধুতে পারবে আর মিসওয়ার [রাদি.] বলিলেন, মুহরিম তার মাথা […]
মুহরিম ব্যক্তির শিঙ্গা লাগানো বৈধ।
৭৫১. ইবনি বুহাইনাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] ইহরাম অবস্থায় লাহইয়ে জামাল নামক স্থানে তাহাঁর মাথার মধ্যখানে সিঙ্গা লাগিয়েছিলেন। [বোখারী পর্ব ২৮/১১ হাঃ ১৮৩৬, মুসলিম পর্ব ১৫/১১, হাঃ ১২০৩ ওমরা হজের নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস