৮৭০. আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] দুআ করিতেনঃ হে আল্লাহ! আপনি যেভাবে মাক্কাহ্কে আমাদের জন্য প্রিয় করে দিয়েছেন, মাদীনাহ্কেও সেভাবে অথবা এর চেয়ে অধিক আমাদের কাছে প্রিয় করে দিন। আর মাদীনাহ্র জ্বর জুহফা নামক স্থানের দিকে সরিয়ে দিন। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের মাপের ও ওযনের পাত্রে বারকাত […]
মাদীনাহ্র মর্যাদা, সেখানকার মাল সম্পদে বারাকাতের জন্য নাবী [সাঃআঃ]-এর দুআ, সে স্থান হারাম হওয়া, সেখানে শিকার করা, বৃক্ষ কর্তন করা নিষিদ্ধ এবং এর হারামের সীমারেখা।
৮৬৩. আবদুল্লাহ ইবনি যায়দ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ নাবী [সাঃআঃ] বলেন, ইবরাহীম [আ.] মাক্কাহ্কে হারাম ঘোষণা করিয়াছেন ও তার জন্য দুআ করিয়াছেন। আমি মাদীনাহ্কে হারাম ঘোষণা করেছি, যেমন ইবরাহীম [আ.] মাক্কাহ্কে হারাম ঘোষণা করিয়াছেন এবং আমি মাদীনাহ্র মুদ ও সাআ এর জন্য দুআ করেছি। যেমন ইবরাহীম [আ.] মাক্কাহ্র জন্য দুআ করেছিলেন। […]
ইহরাম অবস্থায় ছাড়া মাক্কায় প্রবেশ বৈধ।
৮৬২. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ মাক্কাহ্ বিজয়ের বছর আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] লৌহ শিরস্ত্রাণ পরিহিত অবস্থায় [মাক্কাহ] প্রবেশ করেছিলেন। আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] শিরস্ত্রাণটি মাথা হইতে খোলার পর এক ব্যক্তি এসে তাঁকে বলিলেন, ইবনি খাতাল কাবার গিলাফ ধরে আছে। তিনি বললেনঃ তাকে তোমরা হত্যা কর। [বোখারী পর্ব ২৮/১৮ হাঃ ১৮৪৬, […]
মাক্কাহ্ হারাম হওয়া, সেখানে শিকার করা, সেখানকার লতা ও বৃক্ষ কাটা নিষিদ্ধ এবং প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয়া ছাড়া সেখানকার পড়ে থাকা জিনিস উঠানো নিষিদ্ধ।
৮৫৯. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, মাক্কাহ বিজয়ের দিন নাবী [সাঃআঃ] বলেছিলেনঃ এখন হইতে আর হিজরত নেই, রয়েছে কেবল জিহাদ এবং নিয়ত। সুতরাং যখন তোমাদেরকে জিহাদের জন্য ডাকা হইবে, এ ডাকে তোমরা সাড়া দিবে। আসমান-যমীন সৃষ্টির দিন হইতেই আল্লাহ তাআলা এ শহরকে হারম [মহাসম্মানিত] করে দিয়েছেন। আল্লাহ কর্তৃক […]
মাক্কাহ্ থেকে হিজরাতকারী ব্যক্তির হাজ্জ ও উমরাহ্ সম্পন্ন করার পর প্রবাসী ব্যক্তির জন্য অনুর্ধ তিনদিন মাক্কায় অবস্থান করা বৈধ।
৮৫৮. আলা ইবনিল হাযরামী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলিলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন, মুহাজিরদের জন্য তাওয়াফে সদর* আদায় করার পর তিন দিন মাক্কায় থাকার অনুমতি আছে।* [বোখারী পর্ব ৬৩/৪৭ হাঃ ৩৯৩৩, মুসলিম পর্ব ১৫/৮১, হাঃ নং ১৩৫২] ওমরা হজের নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
হাজ্জকারীর মাক্কায় অবস্থান ও তার গৃহের উত্তরাধিকার হওয়া।
৮৫৭. উসামাহ ইবনি যায়দ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল ! আপনি মাক্কায় অবস্থিত আপনার বাড়ির কোন্ স্থানে অবস্থান করবেন? তিনি [সাঃআঃ] বললেনঃ আকীল কি কোন সম্পত্তি বা ঘর-বাড়ি অবশিষ্ট রেখে গেছে? আকীল এবং তালিব আবু তালিবের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়েছিলেন, জাফর ও আলী [রাদি.] হননি। কেননা তাঁরা দুজন […]
হাজ্জ, উমরাহ ও আরাফাহ্র দিনের ফাযীলাত।
৮৫৫. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বলেছেনঃ এক উমরাহর পর আর এক উমরাহ উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের [গুনাহের] জন্য কাফফারা। আর জান্নাতই হলো হাজ্জে মাবরূরের প্রতিদান। [বোখারী পর্ব ২৬/১ হাঃ ১৭৭৩, মুসলিম পর্ব ১৫/৭৯, হাঃ ১৩৪৯] ওমরা হজের নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস ৮৫৬. আবু হুরাইরা [রাদি.] […]
কোন মুশরিক হাজ্জ করিবে না ও উলঙ্গ অবস্থায় কেউ বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করিবে না এবং হাজ্জে আকবার দিনের বর্ণনা।
৮৫৪. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, বিদায় হাজ্জের পূর্বে যে হাজ্জে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] আবু বকর [রাদি.]-কে আমীর নিযুক্ত করেন, সে হাজ্জে কুরবানীর দিন {আবু বকর [রাদি.]} আমাকে একদল লোকের সঙ্গে পাঠালেন, যারা লোকদের কাছে ঘোষণা করিবে যে, এ বছরের পর হইতে কোন মুশরিক হাজ্জ করিবে না এবং […]
হাজ্জ ও উমরাহ্ থেকে ফেরার পথে জুল হুলাইসলামিক ফাউন্ডেশনয় অবস্থান করা এবং সেখানে সালাত আদায়।
৮৫২. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] যুল-হুলাইসলামিক ফাউন্ডেশনর বাত্হা নামক উপত্যকায় উট বসিয়ে সালাত আদায় করেন। [রাবী নাফি বলেন] ইবনি উমার [রাদি.]-ও তাই করিতেন। [বোখারী পর্ব ২৫/১৪ হাঃ ১৫৩২, মুসলিম পর্ব ১৫/৩৭, হাঃ ১২৫৭] ওমরা হজের নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস ৮৫৩. আবদুল্লাহ ইবনি উমার […]
হাজ্জ বা অন্য সফর থেকে ফেরার পথে কী বলবে?
৮৫১. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ আল্লাহ্র রসূল [সাঃআঃ] যখন যুদ্ধ, হাজ্জ কিংবা উমরাহ থেকে ফিরতেন, তখন প্রতিটি উঁচু জায়গার উপর তিনবার আল্লাহু আকবার বলিতেন। অতঃপর বলিতেনঃ “আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। তিনি এক, তাহাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব, হাম্দও তাহাঁরই জন্য, তিনি সব কিছুর উপর সর্বশক্তিমান। আমরা […]