কুবা মাসজিদ ও সেখানে সালাত আদায়ের ফাযীলাত এবং তা যিয়ারাত করা।

৮৮৩. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] আরোহণ করে কিংবা পায়ে হেঁটে কুবা মাসজিদে আসতেন। [বোখারী পর্ব ২০/৪ হাঃ ১১৯৪, মুসলিম পর্ব ১৫/৯৭ হাঃ ১৩৯৯] ওমরা হজের নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

তিন মাসজিদ ছাড়া অন্য কোথাও সফরের প্রস্তুতি নেবে না।

৮৮২. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি নাবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, মাসজিদুল হারাম, মাসজিদুর রসূল এবং মাসজিদুল আক্‌সা [বায়তুল মাক্‌দিস] তিনটি মাসজিদ ব্যতীত অন্য কোন মাসজিদে [যিয়ারতের] উদ্দেশে হাওদা বাঁধা যাবে না। [বোখারী পর্ব ২০/১ হাঃ ১১৮৯, মুসলিম পর্ব ১৫/৯৫ হাঃ ১৩৯৭] ওমরা হজের নিয়ম -এই […]

মাক্কাহ ও মাদীনাহ্‌র দু মাসজিদে সালাতের ফাযীলাত।

৮৮১. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মাসজিদুল হারাম ব্যতীত আমার এ মাসজিদে সালাত আদায় করা অপরাপর মাসজিদে এক হাজার সালাতের চেয়ে উত্তম। [বোখারী পর্ব ২০/১ হাঃ ১১৯০, মুসলিম পর্ব ১৫/৯৩, হাঃ ১৩৯৪] ওমরা হজের নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

উহূদ পাহাড় আমাদেরকে ভালভাসে এবং আমরা তাকে ভালবাসি।

৮৮০. আবু হুমাইদ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমরা নাবী [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে তাবূক যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তন করে মাদীনাহ্‌র নিকটবর্তী হলে তিনি বলিলেন, এই মাদীনাহ্‌র অপর নাম ত্বাবা [পবিত্র] এবং এই উহূদ পাহাড় আমাদের ভালবাসে আর আমরাও তাকে ভালবাসি। [বোখারী পর্ব ৬৪/৮১ হাঃ ৪৪২২, মুসলিম পর্ব ১৫/৯৩ হাঃ ১৩৯২] ওমরা হজের […]

কবর ও মিম্বারের মধ্যবর্তী স্থান হচ্ছে জান্নাতের বাগিচাসমূহের একটি বাগিচা।

৮৭৮. আবদুল্লাহ্ ইবনি যায়দ-মাযিনী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমার ঘর ও মিম্বর-এর মধ্যবর্তী স্থানটুকু জান্নাতের বাগানসমূহের একটি বাগান । [বোখারী পর্ব ২০/৫ হাঃ ১১৯৫, মুসলিম ১৫/৯২, হাঃ ১৩৯০] ওমরা হজের নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস ৮৭৯. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমার ঘর […]

মাদীনাহ্র অধিবাসীরা যখন মাদীনাহ্‌কে পরিত্যাগ করিবে।

৮৭৭. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল  [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি, তোমরা উত্তম অবস্থায় মাদীনাহকে রেখে যাবে। আর জীবিকা অন্বেষণে বিচরণকারী অর্থাৎ পশু-পাখি ছাড়া আর কেউ একে আচ্ছন্ন করে নিতে পারবে না। সবশেষে যাদের মাদীনাহ্‌তে একত্রিত করা হইবে তারা হল মুযায়না গোত্রের দুজন রাখাল। তারা তাহাদের বকরীগুলোকে […]

বিভিন্ন শহর বিজিত হলেও মাদীনায় থাকার প্রতি উৎসাহ প্রদান।

৮৭৬. সুফইয়ান ইবনি আবু যুহায়র [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ ইয়ামান বিজিত হইবে, তখন একদল লোক নিজেদের সওয়ারী তাড়িয়ে এসে স্বীয় পরিবার-পরিজন এবং অনুগত লোকদেরকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে। অথচ মাদীনাহ তাহাদের জন্য উত্তম ছিল, যদি তারা বুঝত। সিরিয়া বিজিত হইবে, তখন একদল লোক নিজেদের […]

যে ব্যক্তি মাদীনাহ্‌বাসীর অনিষ্ট কামনা করিবে আল্লাহ তাআলা তাকে কষ্ট দিবেন।

৮৭৫. সাদ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি নাবী [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ যে কেউ মাদীনাবাসীর সাথে ষড়যন্ত্র বা প্রতারণা করিবে, সে লবণ যেভাবে পানিতে গলে যায়, সেভাবে গলে যাবে। [বোখারী পর্ব ২৯/৭ হাঃ ১৮৭৭, মুসলিম পর্ব ১৫/৮৯, হাঃ ১৩৮৭] ওমরা হজের নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

মাদীনাহ তার ক্ষতিকর ও যাবতীয় মন্দকে পরিষ্কার করে।

৮৭২. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বলেনঃ আমি এমন এক জনপদে হিজরাত করার জন্য আদিষ্ট হয়েছি, যে জনপদ অন্য সকল জনপদের উপর জয়ী হইবে। লোকেরা তাকে ইয়াসরিব বলে থাকে। এ হল মাদীনাহ। তা অবাঞ্ছিত লোকদেরকে এমনভাবে বহিষ্কার করে দেয়, যেমনভাবে কামারের অগ্নিচুলা লোহার মরিচা দূর […]

মহামারী ও দাজ্জালের প্রবেশ থেকে মাদীনাহ সংরক্ষিত হওয়া।

৮৭১. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মাদীনাহ্‌র প্রবেশ পথসমূহে ফেরেশতা পাহারায় নিয়োজিত আছে। তাই প্লেগ রোগ এবং দাজ্জাল মাদীনায় প্রবেশ করিতে পারবে না। [বোখারী পর্ব ২৯/৯ হাঃ ১৮৮০, মুসলিম পর্ব ১৫/৮৭, হাঃ ১৩৭৯] ওমরা হজের নিয়ম -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস