অসুখের কারণে ও সফরে যাওয়ার কারণে বা অন্য যে কোন কারণে সঙ্গত ওযর উপস্থিত হলে সলাতে অন্যকে ইমামের স্থলাভিষিক্ত করা।

২৩৫. উবাইদুল্লাহ্ ইব্‌নু `আবদুল্লাহ্ ইব্‌নু উত্‌বাহ [রহ.] হতে বর্ণিতঃ উবাইদুল্লাহ্ ইব্‌নু `আবদুল্লাহ্ ইব্‌নু উত্‌বাহ [রহ.] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি `আয়িশাহ্ [রাঃআঃ]-এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে বললাম, আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু `আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর [অন্তিম কালের] অসুস্থতা সম্পর্কে কি আপনি আমাকে কিছু শুনাবেন? তিনি বলিলেন, অবশ্যই। নবী [সাল্লাল্লাহু `আলাইহি ওয়া সাল্লাম] মারাত্মকভাবে […]

মুক্তাদী ইমামের অনুসরণ করবে

২৩২. আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোড়া হতে পড়ে যান। ফলে তাঁর ডান পাঁজর আহত হয়ে পড়ে। আমরা তাঁর শুশ্রূষা করার জন্য সেখানে গেলাম। এ সময় সালাতের ওয়াক্ত হলো। তিনি আমাদের নিয়ে বসে সালাত আদায় করলেন, আমরাও বসেই আদায় করলাম। সালাতের […]

সালাতে ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ ও ‘রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ’ এবং আমীন বলা

২২৯. আবূ হুরায়রাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইমাম যখনঃ (سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ) বলেন, তখন তোমরা (اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ) বলবে। কেননা, যার এ উক্তি মালাইকার (ফেরেশতাগণের) উক্তির সঙ্গে একই সময়ে উচ্চারিত হয়, তার পূর্ববর্তী সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। সহীহুল বুখারী, পৰ্ব […]

তাশাহ্‌হুদ পড়ার পর নবী (ﷺ) এর উপর দুরূদ পড়া

২২৭. কা’ব ইবনু ’উজরা (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি ’আবদুর রহমান ইবনু আবূ লাইলা (রহ.) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, কা’ব ইবনু ’উজরাহ (রাযি.) আমার সঙ্গে দেখা করে বললেন, আমি কি আপনাকে এমন একটি হাদিয়া দেব না যা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে শুনেছি? আমি বললাম, হ্যাঁ, আপনি আমাকে সে […]

সালাতে তাশাহ্‌হুদ পড়া

২২৬. ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যখন আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সালাত আদায় করলাম, তখন (বসা অবস্থায়) আমরা আল্লাহর প্রতি তাঁর বান্দাদের পক্ষ থেকে সালাম, জিবরীল (’আ.)-এর প্রতি সালাম, মীকাঈল (’আ.)-এর প্রতি সালাম এবং অমুকের প্রতি সালাম দিলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত শেষ […]

যে ব্যক্তি বলে উচ্চেঃস্বরে `বিসমিল্লাহ` পড়তে হইবে না` তার দলীল।

২২৫. আনাস (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকর (রাযি.) এবং ’উমার (রাযি.) الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ দিয়ে সালাত শুরু করতেন। সহীহুল বুখারী, পৰ্ব ১০ : আযান, অধ্যায় ৮৯, হাঃ ৭৪৩; মুসলিম, পর্ব ৪ : সালাত, অধ্যায় ১৩, হাঃ ৩৯৯

প্রত্যেক রাকআতে সূরাহ ফাতিহা পাঠ করা ওয়াজিব এবং যে ব্যক্তি সূরাহ ফাতিহা সুন্দর করে পড়তে পারে না ও সেটা শেখাও সম্ভব না হলে অন্য যা সহজ তা পড়া।

`উবাদাহ ইব্‌নু সামিত [রাঃআঃ] হতে বর্ণিতঃ – হাদিসের তাহকিকঃহাসান হাদিছ `উবাদাহ ইব্‌নু সামিত [রাঃআঃ] হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু `আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সলাতে সূরাহ আল-ফাতিহা পড়ল না তার নামাজ হলো না।* আল লুলু ওয়াল মারজানঃ ২২২ [সহিহ বুখারী : পর্ব ১০ : /৯৫ হাদিছ ৭৫৬, মুসলিম ৪/১১, হাদিছ […]

নামাজের মধ্যে প্রত্যেক নিচু ও উঁচু হওয়ার সময় তাকবীর বলা শুধু রুকূ` থেকে মাথা উঠানোর সময় ব্যতীত, কেননা তখন `সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ` বলবে।

আবূ সালামা ও আবূ হুরাইরাহ্ [রাঃআঃ] হতে বর্ণিতঃ আবূ সালামা ও আবূ হুরাইরাহ্ [রাঃআঃ] হতে বর্ণিত যে, তিনি তাহাদের সঙ্গে নামাজ আদায় করিতেন এবং প্রতিবার উঠা বসার সময় তাক্‌বীর বলিতে ন। নামাজ শেষ করে তিনি বলিলেন, তোমাদের মধ্যে আমার নামাজই আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু `আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর নামাজের সাথে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ। […]

তাকবীরে তাহরীমা বলার সময়, রুকূতে যাওয়ার সময় এবং রুকূ থেকে মাথা উত্তোলনের সময় দু` হাত কাঁধ বরাবর উঠানো মুস্তাহাব এবং সাজদাহ থেকে উঠার সময় হাত উঠাতে হইবে না।

আবদুল্লাহ্ ইব্‌নু `উমার [রাঃআঃ] হতে বর্ণিতঃ `আবদুল্লাহ্ ইব্‌নু `উমার [রাঃআঃ] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু `আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-কে দেখেছি, তিনি যখন নামাজের জন্য দাঁড়াতেন তখন উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন। এবং যখন তিনি রুকূ`র জন্য তাক্‌বীর বলিতে ন তখনও এরূপ করিতেন। আবার যখন রুকূ` হতে মাথা উঠাতেন […]

আযানের ফাযীলাত এবং তা শুনে শয়তানের পলায়ন।

আবূ হুরাইরাহ্ [রাঃআঃ] হতে বর্ণিতঃ আবূ হুরাইরাহ্ [রাঃআঃ] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু `আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেনঃ যখন নামাজের জন্য আযান দেয়া হয়, তখন শয়তান হাওয়া ছেড়ে পলায়ন করে, যাতে সে আযানের শব্দ না শোনে। যখন আযান শেষ হয়ে যায়, তখন সে আবার ফিরে আসে। আবার যখন নামাজের […]