১৮৩৬. হুয়াইফাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একদা) আমাদের মাঝে এমন একটি ভাষণ প্রদান করলেন যাতে কিয়ামত পর্যন্ত যা সংঘটিত হবে এমন কোন কথাই বাদ দেননি। এগুলি স্মরণ রাখা যার সৌভাগ্য হয়েছে সে স্মরণ রেখেছে আর যে ভুলে যাবার সে ভুলে গেছে। আমি ভুলে যাওয়া কোন […]
দুজন মুসলিম যখন তরবারি নিয়ে পরস্পরের সম্মুখীন হয়।
১৮৩৪. আহনাফ ইবনি কায়স [রা.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি [সিফফীনের যুদ্ধে] এ ব্যক্তিকে {আলী [রাদি.]-কে} সাহায্য করিতে যাচ্ছিলাম। আবু বাকরা [রাদি.]-এর সঙ্গে আমার দেখা হলে তিনি বললেনঃতুমি কোথায় যাচ্ছ? আমি বললাম, আমি এ ব্যক্তিকে সাহায্য করিতে যাচ্ছি। তিনি বললেনঃফিরে যাও। কারণ আমি আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] -কে বলিতে শুনিয়াছি যে, […]
অজস্র বৃষ্টি ফোঁটার ন্যায় ফেতনা অবতরণ।
১৮৩২. উসামা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] মাদীনাহর কোন একটি পাথর নির্মিত গৃহের উপর আরোহণ করে বললেনঃ আমি যা দেখি তোমরা কি তা দেখিতে পাচ্ছ? [তিনি বলিলেন] বৃষ্টি বিন্দু পতিত হওয়ার স্থানসমূহের মত আমি তোমাদের গৃহসমূহের মাঝে ফেতনার স্থানসমূহ দেখিতে পাচ্ছি। [বোখারী পর্ব ২৯ অধ্যায় ৮ হাদীস নং […]
কাবা আক্রমণকারী সৈন্যদলের যমীনে দেবে যাওয়া।
১৮৩১. আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, [পরবর্তী যামানায়] একদল সৈন্য কাবা [ধ্বংসের উদ্দেশে] অভিযান চালাবে। যখন তারা বায়দা নামক স্থানে পৌঁছবে তখন তাহাদের আগের পিছের সকলকে জমিনে ধ্বসিয়ে দেয়া হইবে। আয়েশা [রাদি.] বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]! তাহাদের অগ্রবাহিনী ও পশ্চাৎবাহিনী সকলকে কিভাবে […]
ফেতনা নিকটবর্তী হওয়া এবং ইয়াজুজ মাজুজের [দেয়াল] খুলে যাওয়া।
১৮২৯. যায়নাব বিনতে জাহাশ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ একবার নাবী [সাঃআঃ] ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় তাহাঁর নিকট আসলেন এবং বলিতে লাগলেন, لاَ إِلهَ إِلاَّ اللهُ লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আরবের লোকেদের জন্য সেই অনিষ্টের কারণে ধ্বংস অনিবার্য বা নিকটবর্তী হয়েছে। আজ ইয়াজুজ ও মাজুজের প্রাচীর এ পরিমাণ খুলে গেছে। এ কথার বলার সময় […]
মাক্কাহ থেকে মদিনায় নাবী (সাঃ)-এর হিজরাতের বর্ণনা।
১৮৯২. বারা ইবনি আযিব [রাদি.] থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, একদা আবু বকর [রাদি.] আমার পিতার কাছে আমাদের বাড়িতে আসলেন। তিনি আমার পিতার কাছ হতে একটি হাওদা কিনলেন এবং আমার পিতাকে বললেন, তোমার ছেলে বারাকে আমার সঙ্গে হাওদাটি বয়ে নিয়ে যেতে বল। আমি হাওদাটি বয়ে তাঁর সঙ্গে চললাম। আমার পিতাও ওটার […]
কথা বলায় স্পষ্টতা অবলম্বন করা এবং ইলম লিখে রাখার হুকুম।
১৮৯১. আয়িশাহ [রাদি.] থেকে বর্ণিতঃ নাবী [সাঃআঃ] এমনভাবে কথা বলতেন যে, কোন গণনাকারী গুণতে চাইলে তাঁর কথাগুলি গণনা করতে পারত। [বুখারী পর্ব ৬১ অধ্যায় ২৩ হাদীস নং ৩৫৬৭; মুসলিম ২৪৯৩; সংসারের প্রতি অনাসক্তি – এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস
অধিক বয়স্ককে অগ্রগণ্য করা।
১৮৯০. ইবনু উমার [রাদি.] থেকে বর্ণিতঃ নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ আমি [স্বপ্নে] দেখলাম যে, আমি মিসওয়াক করছি। আমার নিকট দু ব্যক্তি এলেন। একজন অপরজন হতে বয়সে বড়। অতঃপর আমি তাদের মধ্যে কনিষ্ঠ ব্যক্তিকে মিসওয়াক দিতে গেলে আমাকে বলা হলো, বড়কে দাও। তখন আমি তাদের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকে দিলাম। [বুখারী পর্ব ৪ […]
কারো এত বেশি প্রশংসা করা নিষিদ্ধ যাতে প্রশংসার কারণে তার নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
১৮৮৮. আবু বাকর [রাদি.] থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ]-এর সামনে এক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তির প্রশংসা করল। তখন রসূল [সাঃআঃ] বললেন, তোমার জন্য আফসোস! তুমি তো তোমার সাথীর গর্দান কেটে ফেললে, তুমি তো তোমার সাথীর গর্দান কেটে ফেললে। তিনি এ কথা কয়েকবার বললেন, অতঃপর তিনি বললেন, তোমাদের কেউ যদি […]
একই খালে মুমিন দুবার দংশিত হয় না।
১৮৮৭. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] থেকে বর্ণিতঃ নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ প্রকৃত মুমিন একই গর্ত (ভুলে) থেকে দুবার (দুইবার) দংশিত হয় না। [বুখারী পর্ব ৭৮ অধ্যায় ৮৩ হাদীস নং ৬১৩৩; মুসলিম ৫৩/১২, হাঃ ২৯৯৮]; সংসারের প্রতি অনাসক্তি – এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস